জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে কেউ পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে ভোট চাইলে তা মুখের ওপর ছুড়ে মারবেন।’
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখবেন, নির্বাচনের আগে যে আপনার পকেটে ৫০০-এক হাজার টাকা দিয়ে ভোট চায়, সে হচ্ছে জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু। সে পাঁচ বছরের জন্য আপনার মুখ বন্ধ করে দিতে চায়। সে পাঁচ বছরে আপনার সবচেয়ে বড় নাগরিক অধিকার ভোটাধিকারকে কেড়ে নিতে চায়। ওই টাকা তার মুখের ওপর ছুড়ে মারবেন। না হলে পরের পাঁচ বছর বিভিন্ন প্রয়োজনে আপনার কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা লুট করে নেবে। আপনার তখন আর বলার মুখ থাকবে না। নতুন বাংলাদেশে আমরা এই পরিবর্তনগুলো চাই।’
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার গাইবান্ধা মোড়ে দলটির পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। দিনাজপুরের ছয় উপজেলায় এনসিপির পথসভা ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঘোড়াঘাট উপজেলায় এ পথসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনসিপির ঘোড়াঘাট উপজেলা শাখার সংগঠক আবদুল মান্নান সরকার।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের স্বপ্নকে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে হাজারের বেশি মানুষ জীবন দিয়েছেন। তিন বছরের শিশু, ছয় বছরের জাবির তাদের জীবন দিয়েছে। যারা জীবন দিয়েছে, তাদের অর্ধেকের বেশি ১৮ বছরের নিচে। খারাপকে যদি খারাপ বলার সৎ সাহস দেখাতে না পারেন, তাহলে মানুষটা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে। আর প্রশ্রয় পেতে পেতে সবশেষে কী হয়, সেটা আমরা হাসিনার থেকে দেখেছি। কাউকে আর হাসিনা থেকে খুনি হাসিনা হয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। আপনাদের কাছে আমাদের জায়গা থেকে এই অনুরোধটুকু জানাই।’
পাশাপাশি বিকাল ৩টায় হিলি স্থলবন্দরের চারমাথায় পথসভার আয়োজন করা হয়। এই পথসভায় সারজিস আলম বলেন, ‘হিলি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। এর রাস্তা হওয়ার কথা ছিল দেশের সেরা রাস্তা। যে হিলি বন্দর থেকে কোটি কোটি টাকা সরকার রাজস্ব পায়, সেই হিলির রাস্তা দিয়ে আসার সময় আমাদের পাকস্থলি একবার উঠে বুকে আবার বুক একবার যায় পাকস্থলিতে। এতদিন ধরে উন্নয়নের নামে হিলিকে শোষণ করা হয়েছে। বন্দর থেকে টাকা নিয়ে যে যার পছন্দের এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বড় বড় এক্সপ্রেসওয়ে বানিয়েছেন। এতে আমাদের সমস্যা নেই। পুরো বাংলাদেশে এক্সপ্রেসওয়ে হোক এটাও আমরা চাই। কিন্তু হিলির যতটুকু উন্নয়ন দরকার ছিল, যতটুকু প্রাপ্য ছিল ততটুকু তো হিলিকে দিতে হবে।’
পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান, সাদিয়া ফারজানা, আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবু সাঈদ, ইমামুর রশিদ, আল মেহরাজ শাহরিয়ার প্রমুখ।