স্থায়ীভাবে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নীলফামারী সরকারি কলেজের নিজস্ব জায়গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর না করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ওই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
এতে বলা হয়, নীলফামারী সরকারি কলেজের ৩৩ শতাংশ জায়গায় ছাত্রাবাস নির্মাণ করার কথা রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে ওই জায়গা নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরকে ভবন নির্মাণের জন্য দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যদি শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে কলেজের নিজস্ব জায়গা কারও কাছে হস্তান্তর করা হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক, ওয়ারিয়র্স অব জুলাই নীলফামারী জেলা শাখার সদস্যসচিব মোস্তফা মুহাম্মদ শ্রেষ্ঠ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কলেজ শাখার সদস্যসচিব পায়েলুজ্জামান রক্সি, ইসলামী ছাত্রশিবির নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি হাসান আলী এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ সৈকত ও রাইসুল ইসলাম রানা প্রমুখ।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কলেজ শাখার সদস্যসচিব পায়েলুজ্জামান রক্সি জানান, কলেজের এই জায়গা হস্তান্তর করা হলে শুধু ছাত্রবাসই নয়, অবকাঠামোগত নানান সংকটে পড়তে হবে। খেলাধুলার মাঠসহ জেলার ঐতিহ্যবাহী এই কলেজকে নানা সমস্যায় পড়তে হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
নীলফামারীর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাজেরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ভবন স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জায়গায় ভবন নির্মাণের নির্দেশনাও রয়েছে। সে কারণে প্রাথমিকভাবে কলেজের ওই জায়গাটি পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তবে এটি সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়, আমার নিজস্ব কোনও মতামত নেই।’
এ ব্যাপারে নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ‘আমাদের কলেজের জায়গার প্রচুর অপ্রতুলতা রয়েছে। এখানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ভবন না করার জন্য কলেজ পরিষদের পক্ষ থেকে বিষয়টি জেলা প্রশাসক ছাড়াও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরকে জানানো হয়েছে।’