X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে বিউটি হত্যাকাণ্ড: বাবা ও চাচাসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৫:২৯আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪২

সংবাদ সম্মেলন করছেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এবং বিউটির বাবা সাদেয় আলিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আলোচিত বিউটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দায়েরকৃত মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা বিউটির গ্রাম সম্পর্কের চাচা ময়না মিয়া ও তার বাবা সায়েদ আলী এবং ভাড়াটে খুনী কামাল মিয়াকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের ওসি শাহ আলম শনিবার চিফ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা ।

রবিবার দুপুরে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা জানান,বিউটি হত্যাকাণ্ড দেশে বিদেশে একটি আলোচিত ঘটনা। বিউটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সারাদেশে ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে কিন্তু সবার ধারণা বাবুলই মূল অভিযুক্ত। তবে পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উৎঘাটন করেছে।

তিনি আরও বলেন,‘পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিউটি হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উৎঘাটন করে প্রমাণ করেছে অপরাধীরা অপরাধ করে পার পায় না। এরইমধ্যে সায়েদ আলী ও ময়না মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এর আগে বাবুল ও তার মা কলমচানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

নিহত বিউটি ও তার চাচা ময়না মিয়া

প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি বিউটি আক্তারকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়াসহ তার লোকজন। তাকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করে বাবুল। এ ঘটনার প্রায় ১ মাস পর বাবুল মিয়া বিউটিকে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ১ মার্চ বিউটি আক্তারের বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর ১৬ মার্চ বিউটি নানির বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন ১৭ মার্চ বিউটি আক্তারের লাশ স্থানীয় হাওর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে পরদিন তার বাবা বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা ইউপি সদস্য কলম চান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইল নামের একজনকে আটক করে। এই ঘটনার পর ২৯ মার্চ হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসম শামছুর রহমান ভূইয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা। এরপর ৩১ মার্চ সিলেট থেকে বাবুলকে আটক করে র‌্যাব। পরদিন বাবুল মিয়াকে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ নিশ্চিত হয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল মিয়া জড়িত নয়। এরপর থেকে পুলিশ লাখই উপজেলার বিউটির নানী বাড়ি গুনিপুর গ্রামে গিয়ে জানতে পারে হত্যাকাণ্ডের আগের দিন রাতে বিউটিকে তার বাবা সায়েদ আলী ও চাচা ময়না মিয়া নিয়ে আসে। এরপর পুলিশ ৪ মার্চ ঘাতক ময়না মিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। পরদিন ৬ মার্চ রাত ৯টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরদিন বিউটির বাবা সায়েদ আলী নিজেও হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কথা শিকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।

 

/জেবি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট