গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মৌলভীবাজারের মানুষের। শনিবার (২৫ মে) ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে জেলাটি। এতে চা বাগান অধ্যুষিত জেলাটির চা শ্রমিক ও হাওর পাড়ের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। খরা আর তীব্র গরমে কাহিল অবস্থা।
তপ্তরোদে রাস্তাও ফাঁকা কয়েক দিন ধরে। শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের সীমা নেই। গরমের কারণে কায়িক পরিশ্রম করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শুধু যে তপ্ত রোদে গেলে ঘাম ঝরছে তাই নয়, ঘরের ভেতরের অবস্থাও একই। শিশুরা পানি ছাড়া আর কিছু খেতে চাচ্ছে না। গরমের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডাজাতীয় পানীয় পান করে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। দিনের বেলা রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও কম। রিকশা চলাচল করছে না বললেই চলে।
রিকশাচালক ও দিনমজুররা বলেন, দিনে রোজগার করে দিনে খাই। প্রতিদিন কাজে যেতে হয়। কিন্তু দুই দিন ধরে কাজে বের হতে পারছি না। এত গরম আর রোদ কেমনে কী করি।
ফিনলে চা কোম্পানির সিলেট বিভাগের বিক্রয় প্রতিনিধি ইউসুফ মিয়া বলেন, গরম ও তীব্র রোধের কারণে মার্কেটে গিয়েও পণ্য বিক্রির অর্ডার নেওয়া যাচ্ছে না, দোকানদার বিরক্ত। গরমে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এভাবে আর কয়দিন থাকবে জানি না।
শনিবার বিকাল ৩টার দিকে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান। শুক্রবার ৩৬.৮, বৃহস্পতিবার ও বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।