সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে পৈতৃক জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে শ্যালককে হত্যার মামলায় দুলাভাইকে যাবজ্জীবন এবং দুই সৎবোনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে রাসিক মিয়ার সঙ্গে তার সৎবোনের স্বামী নাইজুল হক (দুলাভাই) ও সৎবোন নাসিমা, সামিনা এবং রীনা বেগমের মধ্যে ঝগড়া হয়।
পরদিন ৫ এপ্রিল বিকালে রাসিক মিয়া বাড়ির পাশের টিউবওয়েলে গোসল করতে গেলে দুলাভাই নাইজুল হক ঘর থেকে ছুরি এনে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় সৎবোনরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় রাসিক মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেদিন সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রাসিক মিয়ার ভাই বাদী হয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় নাইজুল হক ও তিন সৎবোনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা সৎবোন সামিনার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় শুধু নাসিমা ও রীনা বেগম এবং দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত নাইজুল হককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সৎবোন নাসিমা ও রীনা বেগমকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
আদালত চত্বরে উত্তেজনা
রায় ঘোষণার পর আসামিদের কোর্ট হাজতে নেওয়ার সময় হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় মামলার বাদী এবং ভিডিও ধারণকারী স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশে দুলাভাই ও সৎবোনরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা সাংবাদিকদের মারধরের জন্য তেড়ে আসেন এবং এক মাসের মধ্যে জামিনে মুক্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।