সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পরিবেশ ও খনিজসম্পদবিষয়ক দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দা। শনিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে বল্লাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকেই গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন শুরু হয়, যা এখনও অব্যাহত আছে। এ পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে জাফলং ও পিয়াইন নদ এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। উপদেষ্টারা কোয়ারি এলাকা পরিদর্শনের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা বলেন, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংয়ে আর কোনও পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হবে না। এরপরই কিছু ব্যক্তি বিক্ষোভ শুরু করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর উপদেষ্টারা গাড়িতে ওঠেন। তখন বল্লাঘাট এলাকায় কয়েকশ শ্রমিক ও এলাকাবাসী কোয়ারির ইজারা দেওয়ার দাবিতে তাদের গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেন এবং ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন। প্রায় পাঁচ থেকে সাত মিনিট অবরোধ চলার পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এরপর উপদেষ্টারা সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মো. তোফায়েল আহমদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পরপরই কিছু ব্যক্তি স্লোগান ও বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যেই তারা সরে যান। এরপর উপদেষ্টারা চলে গেছেন।
জাফলং পরিদর্শন শেষে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জাফলং একটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ)। আমরা ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, কীভাবে এখানে ইকোফ্রেন্ডলি ট্যুরিজম গড়ে তোলা যায়। এতে যারা পাথর উত্তোলন করতেন, তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।’
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এ জায়গাটিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত এখান থেকে কোনও পাথর উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। এখান থেকে ক্রাশার মেশিন সরাতে হবে, তাই এসব মেশিনে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।’