X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারণে সাময়িক বহিষ্কার ঢাবি শিক্ষক আজহার জাফর শাহ

ঢাবি প্রতিনিধি
২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৫৩আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৯:৫৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দশ বছর অনিয়মিত থেকে বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না রাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজহার জাফর শাহকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।
কারণ জানতে চাইলে ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘদিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভাগের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি। বারবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং চিঠি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তিনি কোনও ধরনের সাড়া দেননি।’
এর আগে বেশ কয়েকবার তাকে অনিয়মিত থাকার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তবে তিনি সেসবের কোনওজবাব দেননি বলেও জানান বিশ্ববিদ্যালয় উপ উপাচার্য।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এহসানুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ঘটনার শুরু দশবছর আগে। ২০০৭ সালে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে অশিক্ষক সুলভ এবং অপেশাদারিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ আসে। সেসময়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বর দেওয়ায় পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগও করা হয়। পরবর্তীতে এই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় যেখানে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলেও তিনি কোনও ধরণের আত্মপক্ষ সমর্থন করেননি এবং নোটিশের জবাব দেননি। যার ফলে ২০০৭ সালেই আজহার জাফর শাহকে বিভাগীয় ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত রাখা হয় এবং তারপর থেকে তিনি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বাদ দেন।

অধ্যাপক এহসানুল হক আরও জানান, এছাড়া তৎকালে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেও পদোন্নতির শর্ত পূরণ করতে না পারায় মোহাম্মদ আজহার জাফর শাহকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি দেওয়া হয়। সেই সময়ও এই বিষয়ে তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

/ইউআই/এমও/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশে বিশ্বকাপ: রোমাঞ্চের চেয়ে টেনশন বেশি কাজ করছে নিগারের
বাংলাদেশে বিশ্বকাপ: রোমাঞ্চের চেয়ে টেনশন বেশি কাজ করছে নিগারের
১৯ বছর পর হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১৯ বছর পর হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি