X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

বিপন্ন গাছে সবুজ হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

রশিদ আল রুহানী
১৭ অক্টোবর ২০১৭, ০৭:৪৭আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ১২:১৫

শিক্ষাঙ্গন সবুজ ও সুন্দর রাখতে প্রতিষ্ঠানের খালি জায়গায় বিপন্ন গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বিলুপ্তপ্রায় গাছ সংরক্ষণে দেশের সব সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় বিপন্ন ১০ প্রজাতির গাছ লাগানো হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছেন পরিচালকরা।

ফেনী সরকারি কলেজের একাংশ, ছবি সংগৃহীত জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছে। সংবিধানের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মসূচির ১৮(ক) অনুচ্ছেদে উৎসাহী হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হারিয়ে যাওয়া গাছ সংরক্ষণ ও শিক্ষাঙ্গনের আঙিনা সুন্দর রাখাও প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। আর এসবের ওপর ভিত্তি করেই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সবুজ শিক্ষাঙ্গন বিনির্মাণে বিপন্ন উদ্ভিদ সংরক্ষণ’। তবে এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা পর্যায়েই রয়েছে প্রকল্পটি। কার্যক্রমটি আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

জানা গেছে, দেশে ৬ হাজার প্রজাতির গাছ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ১ হাজার প্রজাতির গাছ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ফুল ও ফল দেয়, এমন বিলুপ্তপ্রায় গাছ রয়েছে ২৫টি। এর মধ্যে প্রকল্প পরিচালকরা ১০ প্রজাতির ফল দেওয়া গাছ বেছে নিয়েছেন, যা প্রথম অবস্থায় দেশের ৩শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগানো হবে।

প্রকল্প পরিচালকরা বলেন, দেশের ১০ অঞ্চলের ১০টি বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ১০টি কলেজে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে বিপন্ন গাছের চারা উৎপাদন করা হবে। ওই ১০টি কলেজে গাছ উৎপাদনের জন্য ১০টি ল্যাব করা হবে। সেখানে বিশেষজ্ঞ টিমও থাকবে। পরবর্তী সময়ে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় ওই গাছ লাগানো হবে। এই প্রকল্পের প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা এবং মেয়াদ চার বছর।

টিস্যু কালচার করার জন্য ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও বরিশাল অঞ্চলের মোট ১০টি বড় কলেজকে নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের তত্ত্বাবধানকারী হিসেবে রয়েছেন মাউশির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, ফোকাল পয়েন্টে আছেন সহকারী পরিচালক মিনহাজ উদ্দীন আহম্মদ এবং সহায়তাকারী হিসেবে রয়েছেন গবেষণা কর্মকর্তা মো. আজিম কবীর।

প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ওহিদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিনিয়ত দেশ থেকে গাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও গাছ-গাছালিরও অভাব রয়েছে। এই দুইটি বিষয়েই মিলন ঘটনো হবে প্রকল্পটির মাধ্যমে। এতে করে বিলুপ্ত গাছও সংরক্ষণ হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সবুজ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খালি জায়গাগুলোতে গাছ লাগানো হবে। আবার প্রকল্পটি কেবল গাছ লাগানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, এর পরিচর্যা করার জন্যেও প্রণোদনা দেবে সরকার। প্রকল্প শেষ হলেও যেন গাছগুলো পরিচর্যা পায়, সে বিষয়েও পরিকল্পনা রয়েছে।’

/এমও/টিআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’ প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’ প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী