বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি ভোকেশনাল, বিএম, ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষার ফলাফল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লাখ ৭৫৬ জন। পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বছর কারিগরি বোর্ডের অধীন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৯২২ জন। এ বছর করিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৮২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
পরীক্ষা অংশ নেওয়াদের মধ্যে ছাত্র ৮২ হাজার ৭৫৫ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ ৭১ হাজার ৩৩২ জন। জিপিএ-৫ পায় ১ হাজার ৫৩০ জনের। পাসের হার ৮৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
ছাত্রীরা অংশ নেন ৩১ হাজার ৬২৭ জন। উত্তীর্ণ হয়ছেন ২৯ হাজার ৪২৪ জন। জিপিএ-৫ পায় ৩ হাজার ৩৯২ জনের। পাসের হার ৯৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার সারা দেশে পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই এবং ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এরপর অবশিষ্ট পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি করে পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণার দেয় সরকার।
এরপর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় সাবজেক্ট ম্যাপিং করে স্থগিত পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হবে। আর যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছিলো, জেএসসির বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এইচএসসির ৭৫ শতাংশ যোগ করে যে নম্বর পাবে সেই নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল নির্ধারণ করা হবে।
প্রস্তাবের পর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেয়, স্থগিত পরীক্ষাগুলো শুধু এইচএসসি পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল দিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করে শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে ফল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।