বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাস হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে, কিন্তু বাস্তবায়নের অগ্রগতি নেই। দীর্ঘসূত্রতায় আটকে আছে শরীয়তপুরবাসীর বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্ন, ‘শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন জেলার বিশিষ্টজনেরা।
সোমবার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন ফোরাম’-এর আয়োজনে এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি তোলা হয়।
বৈঠকে ফোরামের আহ্বায়ক ড. মোশাররফ হোসেন মাসুদ বলেন, ‘শরীয়তপুরের উর্বর মাটিতে ধান, পাট, পেঁয়াজ, আদাসহ বহু পণ্য উৎপাদন হয়। কৃষিভিত্তিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত জরুরি। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নাম পরিবর্তন করলেও বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।’
ফোরামের সদস্যসচিব শিকদার মো. মেসবাহউদ্দিন বলেন, ‘পদ্মাপাড়ের এই জেলায় সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে। ২০২১ সালে প্রস্তাব দেওয়ার পর আইন পাস হলেও কার্যক্রম না থাকায় আমরা উদ্বিগ্ন। দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।’
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শরীয়তপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সব উপযোগী শর্ত পূর্ণ হলেও দীর্ঘসূত্রতা কেন—তা বোধগম্য নয়। এটি বাস্তবায়িত হলে জেলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মাসুদ কবির রানা, ড. মো. আহসানউল্লাহ, ড. মাহবুবুর রহমান, ড. জুলফিকার হাসান, শহিদুল ইসলাম, মাওলানা খলিলুর রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ বাচ্চু, সাইয়েদ জোবায়ের, তাহমিদ জামান, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।