বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী, সংগঠক ও শুদ্ধ সংগীত চর্চার অন্যতম পুরোধা মিতা হক আর নেই। রবিবার (১১ এপ্রিল) ভোর ৬টা ২০ মিনিটে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে তার এই অকাল প্রস্থানে বিষণ্নতা নেমেছে সংগীত ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। বাংলা ট্রিবিউন-এর কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানালেন দেশের আরেক বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ও সংগঠক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা-
ভোরে বিষণ্ন খবরটা শুনলাম। মনটা খারাপ হয়ে গেল। বিহ্বল হয়ে পড়লাম। কারণ, আমার আর মিতার যোগসূত্রটা একই গানে। হেঁটেছিও একই পথে।
বিষয়ও একই- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাকে প্রথমে আমি চিনি ওয়াহিদুল হক (বিশিষ্ট সংগঠক-ছায়াটনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য) ভাইয়ের ভাতিজি হিসেবে। আমি তখন শান্তিনিকেতনে পড়ি। এরপর তো দেশে ফিরে এলাম। মিতা আরও ব্যস্ত হলেন রবীন্দ্রসংগীতে। আমিও তাই।
সাংগঠনিকভাবে তিনি কাজ করে চললেন। তবে এই জায়গায় আমাদের যোগাযোগটা কম হলো। কারণ মিতা ছায়ানট ও রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদ নিয়ে কাজ করছিলেন। আমি গান ও পরবর্তী সময়ে সংগঠন সুরের ধারা নিয়ে ব্যস্ত হলাম।
এরপর বহু কাজ করে গেছেন মিতা। বহু অনুষ্ঠানে আমরা একমঞ্চে দাঁড়িয়েছি, শিল্পী হিসেবে।
মনে আছে, ২০১৭ সালে চ্যানেল আই রবীন্দ্র উৎসবে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। সেখানে আমিও ছিলাম। আজীবন সম্মান জানানোর মতোই ছিলেন তিনি। তার এই অসময়ে চলে যাওয়াটা সত্যিই কষ্টের। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।