X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফ‌কির আলমগীরের চলে যাওয়ার এক বছর

বিনোদন রিপোর্ট
২৩ জুলাই ২০২২, ১৪:৪৯আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২২, ১৫:৫০

আজ ২৩ জুলাই, গণসংগীতশিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ফকির আলমগীরের চলে যাওয়ার দিন। গত বছরের এই দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। 

জানা যায়, পারিবারিক আয়োজনে তার পরিবারের সদস্যরা দিনটি পালন করছেন। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি আজ সকাল স্মরণসভা এবং বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আছে গান-কথায় ফকির আলমগীরকে স্মরণ। 

ফকির আলগমীর ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে শামিল হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশীয় সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন তিনি। এরপর নিয়মিতই তাকে সংগীতে পাওয়া গেছে। বিশেষ করে গণসংগীতের অন্যতম ধারক ছিলেন এই শিল্পী। 

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ফকির আলমগীরের গাওয়া ‘সান্তাহার জংশনে দেখা’,  ‘বনমালী তুমি’  ‘কালো কালো মানুষের দেশে’, ‘মায়ের একধার দুধের দাম’, ‘আহা রে কাল্লু মাতব্বর’, ‘ও জুলেখা’সহ বেশ  কিছু গান তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

তিনি গানের পাশাপাশি একজন সফল লেখকও। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো- চেনা চীন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান, গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান, গণসংগীত ও মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুরা, আমার কথা, পপসংগীতের একাল সেকাল।

নিরলস কাজ করে যাওয়ায় তিনি পেয়েছেন সম্মানজক একুশে পদক। এছাড়াও শেরে বাংলা পদক, ভাসানী পদক, সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার, তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক, জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদক, ক্রান্তিপদক, গণনাট্যপদক, গণস্বাস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, জনসংযোগ সমিতি পুরস্কার, ভারতীয় গণনাট্য সংঘ পুরস্কার, ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার, বাংলা একাডেমির সম্মানজনক ফেলোশিপসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মো. হাচেন উদ্দিন ফকির ও মা বেগম হাবিবুন্নেছা। ১৯৬৬ সালে  শিল্পী কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন।

তিনি ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

/এম/
সম্পর্কিত
গণসংগীত মানেই ফকির আলমগীর: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
গণসংগীত মানেই ফকির আলমগীর: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সাধারণের তরে অসাধারণ এক শিল্পী
প্রয়াণ দিনে স্মরণসাধারণের তরে অসাধারণ এক শিল্পী
৪৫ বছর পর ফকির আলমগীরের পদে স্ত্রী সুরাইয়া
ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী৪৫ বছর পর ফকির আলমগীরের পদে স্ত্রী সুরাইয়া
‘বাবা দেখে যেতে পারলে আরও তৃপ্তি পেতাম’
ফকির আলমগীরের নামে দুটি সড়ক‘বাবা দেখে যেতে পারলে আরও তৃপ্তি পেতাম’
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
বোনকে নিয়ে সনু নিগমের প্রথম গান!
বোনকে নিয়ে সনু নিগমের প্রথম গান!
বলিউডে কোণঠাসা প্রিয়াঙ্কা!
বলিউডে কোণঠাসা প্রিয়াঙ্কা!
একসঙ্গে এই অভিনেতারা...
একসঙ্গে এই অভিনেতারা...
শিল্পীদের সমস্যাগুলো সংসদে চিহ্নিত করতে চাই: ফেরদৌস
শিল্পীদের সমস্যাগুলো সংসদে চিহ্নিত করতে চাই: ফেরদৌস
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…