বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডের। প্রাক্তন স্বামী, অভিনেতা জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদ ইস্যুতে বিশ্বজুড়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি। জনির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে উল্টো নিজেই হেরে যান হার্ড। আদালত তাকে সাড়ে ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় পরাজয়ের পর অ্যাম্বার হার্ডের বিভিন্ন কাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসছে। কদিন ধরে শোনা যাচ্ছে, জনি ডেপের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন অভিনেত্রী। অন্যান্য পুরুষের সঙ্গে প্রায়শই নাকি মেলামেশা করতেন তিনি।
এবার জানা গেলো, দর্শকপ্রিয় সিনেমা ‘অ্যাকুয়াম্যান’-এর নির্মাতা জেমস ওয়্যানের সঙ্গেও নাকি সহবাস করেছেন অ্যাম্বার হার্ড। শুধু তাই নয়, সেই ঘটনার সূত্র ধরে নির্মাতাকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন অভিনেত্রী। মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘অ্যাকুয়াম্যান ২’ সিনেমায় নাকি এ কারণেই অ্যাম্বারকে নেওয়া হয়েছে।
নেটিজেনরা বেশ কিছুদিন ধরে বলাবলি করছে, তারকা অভিনেতা এবং প্রযোজকদের সঙ্গে ‘বিশেষ সম্পর্ক’ গড়েই হলিউডে জায়গা করে নিয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড। নির্মাতা জেমস ওয়্যানের সঙ্গে তার একটি একান্ত সাক্ষাতের ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল। সেখানে তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি এলন মাস্কও।
জনি ডেপের সঙ্গে মামলায় হেরে যাওয়ার পর থেকে দর্শকরা রীতিমতো বয়কট করেছে অ্যাম্বার হার্ডকে। তাকে যেন কোনও সিনেমায় সুযোগ না দেওয়া হয়, তা নিয়ে জোরালো দাবি জানাচ্ছেন তারা। ‘অ্যাকুয়াম্যান ২’ সিনেমায় আগেই যুক্ত হয়েছিলেন অ্যাম্বার। এরপরও তাকে বাদ দেওয়ার দাবি ভক্তদের। পপ টপিকের রিপোর্ট অনুসারে, কাজ হারানোর শঙ্কায় নির্মাতা জেমস ওয়্যানকে অতীতের ‘অন্তরঙ্গ ঘটনার’ সূত্রে হাত করে রেখেছেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, ‘অ্যাকুয়াম্যান ২’ সিনেমায়ও কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকছেন জেসন মোমোয়া। তার সঙ্গে দেখা যাবে অ্যাম্বার হার্ডকে। ডিসি কমিকসের এই সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তবে শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বারকে সিনেমাটিতে দেখা যায় কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।
সূত্র: কইমই ডটকম
