এক সপ্তাহের ব্যবধানে বলিউড হারিয়েছে দু’জন বর্ষীয়ান শিল্পীকে। গত ১৮ নভেম্বর মারা গেছেন উপস্থাপক ও অভিনেত্রী তাবাসসুম, এরপর (২৬ নভেম্বর) না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন শক্তিমান অভিনেতা বিক্রম গোখলে।
সমসাময়িক এসব শিল্পীর সঙ্গে শুধু পেশাগত নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও সম্পর্ক ছিলো কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চনের। বিশেষ করে বিক্রম তার বন্ধু ছিলেন। বন্ধু-সহকর্মীকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিষণ্ণ অমিতাভ।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিক্রম গোখলের মৃত্যুর পর তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। একদিন পর নিজের ব্লগে মনের কিছু কথা শেয়ার করেছেন শাহেনশাহ।
বললেন, ‘দিনগুলো বিষাদে ভাসছে। অসামান্য মেধাসম্পন্ন শিল্পী দিন দিন আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আমরা শুনি, দেখি আর প্রার্থনা করি। তাবাসসুম, বিক্রম গোখলে এবং কিছু প্রিয়জন যারা আমাদের কাছের ও পরিচিত।’
বিক্রম-তাবাসসুমদের প্রয়াণে শূন্যতা অনুভব করছেন বচ্চন। তার ভাষ্য, ‘তারা আমাদের জীবনে এসেছিলো। তারা তাদের ভূমিকা পালন করেছে এবং মঞ্চকে শূন্য ও নিঃস্ব করে চলে গেছে।’
চলে গেলেও শিল্পীরা তাদের কাজে বেঁচে থাকেন, সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন অমিতাভ। বলেছেন, ‘তারা সবাই এক এক করে আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে এবং এটা উপলব্ধির বাইরে। আপনি শুধু তাদের উপস্থিতির সময়গুলো স্মরণ করতে পারেন। তারা চিরকাল সময়ের প্রতিমূর্তি হয়ে থেকে যায়, অপরিবর্তিত, নিরবচ্ছিন্ন ও স্বাধীনতায়। তারপর তারা চলে যায় এবং সেটা অনুমান করা যায় না।’
উল্লেখ্য, অমিতাভ বচ্চনের সিনেমার মাধ্যমেই বলিউডে অভিষেক হয়েছিলো বিক্রম গোখলের। ১৯৭১ সালের সেই ছবির নাম ‘পরওয়ানা’। এরপর একসঙ্গে ১৯৯০ সালের ‘অগ্নিপথ’র মতো কালজয়ী সিনেমায় দেখা গেছে। এছাড়া ২০২০ সালের মারাঠি ছবি ‘এবি আনি সিডি’ সিনেমায়ও একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন গুণী এই শিল্পীদ্বয়।
বছর দুয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে বিক্রম জানিয়েছিলেন, অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তার দীর্ঘ ৫৫ বছরের বন্ধুত্ব। তিনি যখন বলিউডে আসেন, তখন অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছিলো। থাকার জন্য জায়গা পর্যন্ত ছিলো না। ওই সময়ে অমিতাভ বচ্চন তার পাশে ছিলেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
