জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং দেশের নদীগুলো রক্ষার মিউজিক্যাল আন্দোলন ‘নদী রক্স’। গানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে নদীর গুরুত্ব, পরিচিতি পৌঁছে দেওয়া এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এর অংশ হিসেবে ইতোপূর্বে সাতটি মৌলিক গান প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া একটি কনসার্টও অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে।
এবার রাজধানীর খানিকটা বাইরে হচ্ছে নদী রক্স কনসার্ট। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ আয়োজন। এতে গাইবে ‘চিরকুট’, ‘অ্যাশেজ’, ‘বাংলা ফাইভ’, ‘এফ মাইনর’ ও ‘স্মুচেস’।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বিকাল ৪টায় শুরু হবে কনসার্টটি। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এতে ব্যান্ডগুলো নদী নিয়ে গানের পাশাপাশি অন্যান্যও গানও পরিবেশন করবে।
আয়োজনটির মূল উদ্যোক্তা ‘চিরকুট’র দলনেতা শারমিন সুলতানা সুমী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘জলবায়ুর যে বিরূপ অবস্থা, নদীগুলো একে একে মরে যাচ্ছে। আমরা চাচ্ছি, দেশের সবগুলো নদী নিয়ে আলাদা আলাদা গান করতে। যাতে একটা আর্কাইভ হয়। সেটা থেকে তরুণ বা পরবর্তী প্রজন্ম যেন জানতে পারে দেশের নদীগুলো সম্পর্কে। এটাই নদী রক্স কনসার্টের মূল লক্ষ্য।’
নদী রক্ষার এই মিউজিক্যাল আন্দোলনটি সুমীর ভাবনাপ্রসূত। কীভাবে তার মধ্যে এমন আয়োজনের ভাবনা এলো? জানতে চাইলে এই গায়িকা বলেন, ‘জলবায়ুর যে অবস্থা এখন! এই যে ডিসেম্বর চলে যাচ্ছে, শীত নেই। এরকম তো আমরা ছোটবেলায় দেখিনি। বন, পাখি, গাছপালা নাই হয়ে যাচ্ছে। এগুলো আমাকে ভাবাতো। সেজন্যই জলবায়ু বিষয়ে কাজ শুরু করি। পাঁচ বছর ধরেই বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে কাজ করছিলাম। এভাবেই নদী রক্স ভাবনাটা আসে। জলবায়ু বা নদী নিয়ে অনেকেই কাজ করছেন। কিন্তু আমরা যেহেতু মিউজিশিয়ান, তাই মিউজিক নিয়ে কাজ করছি।’
আগামীতে দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই নদী রক্স কনসার্ট করতে চান শারমিন সুলতানা সুমী। তবে যেহেতু এটি একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া, তাই জার্নিটা সহজ হবে না বলেও মনে করেন তিনি। এরপরও নদী সচেতনতার মিউজিক্যাল এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে দৃঢ় প্রত্যয়ী সুমী।
নদী রক্স কনসার্টের সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপি।
নদী রক্স প্রজেক্টে অ্যাসেজ ব্যান্ডের গান: