দেশের চারটি বিভাগের ছয়টি ভিন্ন জায়গা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গান প্রকাশ; এমনটা অতীতে কখনও ঘটেনি। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভালোবাসার দিনে এমনই চমক দেখালো ‘কোক স্টুডিও বাংলা’। এদিন সন্ধ্যায় প্রকাশ হয়েছে অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় সিজনের প্রথম গান ‘মুড়ির টিন’।
এ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরের উন্মুক্ত মঞ্চে হাজির হন ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র মূল সংগীত প্রযোজক শায়ান চৌধুরী অর্ণব, গায়ক ও সংগীত পরিচালক প্রীতম হাসানসহ অনেকে। হাজারো ভক্ত-শ্রোতার সঙ্গে তারা কথা বলেন, পাশাপাশি গানও পরিবেশন করেন। এরপর লাইভ স্ট্রিমিং করা হয় নতুন গানটি।
গান প্রকাশ শেষে অর্ণব বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি হলো ভাষার মাস। আর বাংলা ভাষা আমাদের সবাইকে এক করেছে। আর বিভিন্ন অঞ্চলের যে বচন বা ভাষা, সেটা আমাদের আরও সমৃদ্ধ করে। প্রতিটা ভাষার আলাদা চেহারা আছে, যেটা দিয়ে ওই অঞ্চলের মানুষকে বোঝা যায়। আর এই গানটি করার পেছনে ভাবনা ছিল, সেই আঞ্চলিকতার সঙ্গে মানুষকে কিছুটা প্রশান্তি দেওয়া। কেননা, যানজট, পরিবহন ইত্যাদি নিয়ে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।’
প্রীতমের ভাষ্য, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে চট্টগ্রাম ও সিলেটের ভাষা খুবই জটিল। তো এরকম আঞ্চলিকতা দিয়ে শুরু করা, এটা কোক স্টুডিওর আসলেই চমৎকার উদ্যোগ। নিজের ভাষা নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছুই নেই, বরং গর্ব করা উচিত।’
‘মুড়ির টিন’ গানটি মূলত চাটগাঁইয়া ভাষার। এটি গাওয়ার পাশাপাশি লিখেছেন ও সুর করেছেন রিয়াদ হাসান। এর সঙ্গে সিলেট ও খুলনা অঞ্চলের দুটি র্যাপ অংশের মিশ্রণ করা হয়েছে। সিলেটি ভাষায় গেয়েছেন পল্লব ভাই, আর খুলনার ভাষায় তৌফিক মাহমুদ।
গানটির কম্পোজিশন ও মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন শুভেন্দু দাস শুভ। তার সঙ্গে ছিলেন অদিত রহমান। গানে অন্যান্য ভোকাল হিসেবে রয়েছেন রুবাইয়াত রেহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস আকবর, শানিলা ইসলাম, শুভ, মিঠুন চক্র প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবর ছাড়াও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, চট্টগ্রামের সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) এলাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাস্ট) এই গান প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘মুড়ির টিন’ গানের লিংক:
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন