‘ঘুড্ডি’ খ্যাত নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী মারা গেছেন গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে। তিন দিন পর বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার দুই সন্তান দেশের বাইরে থাকেন, তাদের জন্যই বিলম্ব করা হয়েছে।
এদিন বেলা পৌনে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেওয়া হয় সালাহউদ্দিন জাকীর মরদেহ। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তিরা।
শ্রদ্ধা জানাতে এসে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তখন সালাহউদ্দীন জাকীর চলে যাওয়া আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গন ও সংস্কৃত অঙ্গনের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।’
কিংবদন্তি অভিনেতা ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘জাকীর সঙ্গে কখন কোথায় পরিচয় সেটি মনে নেই, তবে আমরা স্বাধীনতার পর যারা একটু সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতাম, তখন প্রায়ই আমাদের দেখা হতো, আড্ডা হতো। চলচ্চিত্র নিয়ে, সৃজনশীলতা নিয়ে তার এক ধরনের পাগলামি ছিল। সেই পাগলামিটা আমাদেরও স্পর্শ করতো, উৎসাহিত করত।’
এরপর জোহরের সময় তার মরদেহ নেওয়া হয় ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে। সেখানে বাদ জোহর নির্মাতার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর বিকাল পৌনে তিনটায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে যায় তার লাশবাহী ফ্রিজারভ্যান। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জানাজা। যেখানে চ্যানেল আই পরিবারের পাশাপাশি নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, আফসানা মিমি, নির্মাতা কাজী হায়াৎ, মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
চ্যানেল আইতে জানাজা-শ্রদ্ধা শেষে সালাহউদ্দিন জাকীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সেখানেই তার বাবা-মায়ের কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। শেষ জীবনে চলাফেরা করতেন হুইল চেয়ারে। এভাবেই নির্মাণ করেছেন জীবনের শেষ দুটি সিনেমা ‘অপরাজেয় একা’ ও ‘ক্রান্তিকাল’। এগুলো এখনও মুক্তি পায়নি। তিনি কালজয়ী হয়ে আছেন ১৯৮০ সালের সিনেমা ‘ঘুড্ডি’ নির্মাণ করে।