টলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের দুই হাতে দুই উপন্যাস। যে দুটোর লেখক আবার ঢাকার ছেলে, নাম রাহিতুল ইসলাম। প্রকাশও পেয়েছে বাংলাদেশের একটি নামকরা প্রকাশনা থেকে। বই দুটোর নাম ‘অর্পা’ ও ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’।
বিষয়টি অবিশ্বাস্য না হলেও, খানিক খটকা তো লাগবেই। তবে কি রূপালী পর্দায় বাংলাদেশের দুই উপন্যাসের নায়িকা হতে যাচ্ছেন সোহিনী?
না, এমন কোনও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য এখনও মেলেনি। জানা গেছে, নেহায়েত ভালোলাগা থেকেই বই দুটোকে হাতে তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী। করেছেন ভূয়সী প্রশংসাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়েছেন উপন্যাস দুটোর ভিডিও রিভিউ।
১৯ ডিসেম্বর দুপুরে ‘ফড়িং’, ‘শ্রীকান্ত’, ‘বিবাহ অভিযান’ ও ‘ভিঞ্চি দা’-খ্যাত অভিনেত্রী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে সোয়া দুই মিনিটের একটি লম্বা ভিডিও পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘‘বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক রাহিতুল ইসলামের ‘অর্পা’ ও ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’ উপন্যাস দুটো ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছে। মুগ্ধ হয়েছি!’’
জানা গেছে, ঢাকার প্রকাশনী থেকে বই দুটো প্রকাশ হলেও সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে কলকাতাতেও। মূলত, সেই বার্তাটিই দিয়েছেন এই ভিডিও রিভিউয়ের মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সোহিনী সরকারের এই রিভিউ পোস্ট বিষয়ে জানতে চাইলে লেখক রাহিতুল ইসলাম বলেন, ‘সোহিনী সরকারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। উপন্যাস দুটি তার ভালো লেগেছে এবং ভিডিওর মাধ্যমে তিনি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আমি সত্যিই আপ্লুত!’
তিনি আরও জানান, রিভিউ ভিডিওটি সোহিনী সরকারকে নির্মাণ করে দিয়েছে প্রডাকশন হাউজ ফিলিং স্টেশন!
বলা দরকার, রাহিতুল ইসলামের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৫টি। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ‘অর্পা’, ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’, ‘চরের মাস্টার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার’, ‘হ্যালো ডাক্তার আপা’, ‘ভালোবাসার হাট-বাজার’ ‘বদলে দেওয়ার গান’, এবং ‘কেমন আছে ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’। এরমধ্যে ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইটি ফিলিপাইন থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ বইয়ের জন্য জাতীয় ফ্রিল্যান্সিং অ্যাওয়ার্ড (২০১৯) এবং ‘কল সেন্টারের অপরাজিতা’র জন্য এসবিএসপি সাহিত্য পুরস্কার (২০২১) পেয়েছেন লেখক। সবশেষ স্মার্ট বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য ‘বদলে দেওয়ার গান’ উপন্যাস লিখে পেয়েছেন পজিটিভ ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাওয়ার্ড (২০২৩)।
সোহিনীর রিভিউ:
প্রসঙ্গত, এর আগে লেখক রাহিতুল ইসলামের লেখা বই ‘ভালোবাসার হাট-বাজার’ পড়ে সোহিনীর মতো সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বিজ্ঞাপনীয় মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন কলকাতার তরুণ অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায়।