ছোট পর্দায় সালহা খানম নাদিয়া নিজের জায়গা পাকা করেছেন বহু আগে। সেই থেকে বিরামহীন কাজ করে চলেছেন। দর্শকও তাকে গ্রহণ করছে ভালোবাসায়, সবসময়। তাই ঈদ এলে ব্যস্ততা কিংবা কাজের মুখরতা বাড়ে প্রতিবারই। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটছে না।
বাংলা ট্রিবিউনকে নাদিয়া জানালেন, এই ঈদে আটটি নাটক নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে চারটি বিজ্ঞাপনচিত্রও। ফলে মুখর এক ঈদ উদযাপন করতে চলেছেন এ অভিনেত্রী।
নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে মীর সাব্বির নির্মিত-অভিনীত ‘মরিবার হলো মোর সাধ’; এ আর আকাশ নির্মিত ‘তানসেনের একটি মুদ্রাদোষ ছিল’, এতে নাদিয়ার সহশিল্পী মারজুক রাসেল; মোহাম্মদ মেহেদী হাসান পরিচালিত ‘গুলশানের পোলা বংশালের মাইয়া’, সহশিল্পী সালমান আরাফাত; নাজমুল রনির ঈদ ধারাবাহিক ‘মিশন ফয়’স লেক’, সহশিল্পী সাব্বির অর্ণব; মাসুদ রানা মাসুমের ‘প্রতিচ্ছবি’, সহশিল্পী সালমান আরাফাত; সানজিদ খান প্রিন্সের ‘ভাই একটু বাড়ায়া কয়’; সহশিল্পী সাইদুর রহমান পাভেল এবং অনুপ বালা পরিচালিত ‘অশিক্ষিত বড় ভাই’; এখানে তার সঙ্গে আছেন সালমান আরাফাত ও আলী মর্তুজা পলাশ।
এছাড়া ‘নিজে বাঁচলে বউয়ের নাম’ নামে আরও একটি নাটকের শুটিং করবেন ৭ ও ৮ এপ্রিল। যেখানে তার বিপরীতে থাকছেন মোশাররফ করিম।
বিজ্ঞাপনগুলোর মধ্যে তিনটি ইতোমধ্যে প্রচার শুরু হয়ে গেছে বলে জানালেন নাদিয়া। অন্যটি প্রচার হবে ঈদে। এই মুখর ব্যস্ততা নিয়ে অভিনেত্রী বললেন, ‘সত্যি বলতে ভালো গল্প দেখেই কাজ করেছি। তাই সবগুলো নাটক নিয়ে আমি এক্সাইটেড। প্রতিটি কাজেই আমার ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র। কোথাও ডাক্তার, কোথাও তোতলা, আবার আমার ভক্তদের প্রিয় ঢাকাইয়া ভাষার চরিত্রেও আছি। সব মিলিয়ে দারুণ কিছু কাজ হলো।’
ঈদ আনন্দ উৎসবে একটি নেতিবাচক চরিত্রেও দেখা যাবে নাদিয়াকে। সেটা ‘অশিক্ষিত বড় ভাই’-এ। এটি নিয়ে নাদিয়ার ভাষ্য, ‘অভিনেত্রী হিসেবে সব ধরনের চরিত্রই করতে চাই। এখানে আমি এক লোভী স্ত্রী, যে তার স্বামীকে ঘুষ খেতে পর্যন্ত বাধ্য করে। এর আগে কখনও আমাকে এত নেগেটিভ চরিত্রে দেখা যায়নি। তবে আমি চেষ্টা করেছি চরিত্রটা পূর্ণাঙ্গভাবে ফুটিয়ে তুলতে।’
সবশেষে ঈদের প্ল্যান সম্পর্কে জানতে চাইলে নাদিয়া জানালেন, বিশেষ কোনও পরিকল্পনা এখনও সাজাননি। কাজের ব্যস্ততায় সেভাবে ফুরসত মেলেনি। তবে বরাবরের মতো ঢাকায়, বাবা-মায়ের সঙ্গেই ঈদ উদযাপন করবেন তিনি। 
