দেশের ব্যান্ড মিউজিকে ‘আর্টসেল’র প্রভাব ও জনপ্রিয়তা কতখানি, তা নতুন করে বলা নিষ্প্রয়োজন। দীর্ঘ ২৫ বছরের পথচলায় ব্যান্ডটি বহু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে। আর লাইভ কনসার্টে তাদের পারফরম্যান্স মাতিয়ে রাখে তরুণদের। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে দূরদেশ, কানাডায়ও।
২৫ বছর পূর্তি উদযাপনে ওয়ার্ল্ড ট্যুরে বেরিয়েছে ব্যান্ডটি। যেটার অংশ হিসেবে বর্তমানে কানাডায় চলছে একের পর এক কনসার্ট। এরইমধ্যে ৫টি অনুষ্ঠান সেরেছেন লিংকন-ফায়সাল-জুয়েলরা। চলতি মাসেই আরও চারটি কনসার্টে অংশ নেবেন তারা।
ব্যান্ডটির সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচটি শো’র সবগুলো ছিল সোল্ডআউট। অর্থাৎ কনসার্টের সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তাকে ঘিরে কানাডাপ্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে এতটাই আগ্রহ যে ভ্যাঙ্কুভারে শোয়ের টিকিট মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়! পরে নিরুপায় হয়ে আয়োজকরা পরদিনই আরও একটি কনসার্টের আয়োজন করেন।
চলতি মাসের বাকি সময়ে যথাক্রমে রিজাইনা, সাসকাটুন, সেইন্টজনস, নিউ ফাউন্ডল্যান্ড ও হ্যালিফ্যাক্সে কনসার্ট কবে ‘আর্টসেল’।
স্মরণীয় এই সফর সম্পর্কে ব্যান্ডটির গিটারিস্ট কাজী ফায়সাল আহমেদ বলেন, ‘কানাডায় এখন পর্যন্ত আমরা যত শো করেছি সবগুলোই সোল্ডআউট গেছে। ভক্ত-শ্রোতাদের মাতামাতি দেখে আমরা রীতিমতো অভিভূত।’
আর্টসেলের ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট জর্জ লিংকন ডি কস্তার ভাষ্য, “আমরা শোগুলোতে ‘রাহুর গ্রাস’ গানটি দিয়ে কনসার্ট শুরু করছি। প্রত্যেক শোতে দর্শক শ্রোতা আর ভক্তদের উন্মাদনায় মনে হচ্ছে ভেন্যুটি যেন ফেটে পড়ছে। যেমন টরেন্টোর শোতে সবাই বলছিলেন, সেখানে বাংলাদেশের কোনও ব্যান্ডের এত বড় এবং এনার্জেটিক শো তারা আগে দেখেনি।”
কানাডার পর যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া ট্যুরেও যাবে ‘আর্টসেল’। সে বিষয়ে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা চলছে বলে জানালেন ব্যান্ডটির সদস্যরা। সব ঠিক থাকলে আগামী জুলাইতে তারা আমেরিকায় যাবেন।কানাডার চেয়েও সেখানে বেশি শো হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।
‘আর্টসেল’র বর্তমান লাইনআপে আছেন- জর্জ লিংকন ডি কস্তা (ভোকাল ও গিটার), কাজী ফায়সাল আহমেদ (গিটার), ইকবাল আসিফ জুয়েল (গিটার), সায়েফ আল নাজি সেজান (বেজ গিটার) ও কাজী আশেকিন সাজু (ড্রামস)।