কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন আলামিন নামের এক তরুণ। তিনি অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী বলে জানা গেছে। তার মৃত্যুর বিষয়টি অভিনেত্রী নিজেই নিশ্চিত করেছেন। লিখেছেন আবেগঘন একটি ফেসবুক পোস্ট, সঙ্গে বেশ ক’টি ছবি।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) নিজের ফেসবুক দেয়ালে আলামিনকে নিয়ে তিশা লেখেন, ‘কিভাবে শুরু করবো জানি না। আপনারা হয়তো সবাই ওকে আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চেনেন। কিন্তু ও অ্যাসিস্ট্যান্ট না, আমার ছোট ভাই। গত চার বছর ধরে ও আমার সঙ্গেই থাকে, আমার ফ্যামিলিতেই থাকে। আপু কী লাগবে, আপু কী খাবে, আপু কখন ঘুমাবে, আবার কখন মনটা খারাপ, মনটা ভালো সব কিছু এই ছেলেটাই জানত আর দেখত।’
তিশা আরও লিখেছেন, ‘আলামিন সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মতো পাশে বসে থাকত। আমার কতো প্ল্যান ওকে নিয়ে। ওকে ড্রাইভিং শেখাব, জোর করে বলতাম পড়াশোনাটা কনটিনিউ করতে, পরীক্ষাটা দিতে। অনেকে অনেক কিছু বলতো, কিন্তু দুনিয়ার সাথে যুদ্ধ করে ও আপুর কাছে এসে বসে থাকত। ঈদের দিনগুলোও আগে আমার সাথে থাকত, তারপর ওর ফ্যামিলির সাথে। কতো বকা দিয়েছি, মন খারাপও করে থাকতো আবার একটু পর ঠিকই বোঝাতাম। একটানা দুই দুইটা গুলি কী করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা?’
সর্বশেষ তিশা লিখেছেন, ‘আলামিন কোনও দল অথবা কোনও কিছুর সাথে জড়িত ছিল না। ওর বিগত চার বছরের জীবনটা আমার সাথে, আমার কাজের এবং আমার পরিবারের সাথেই কেটেছে। ওর জীবনে কোনও পাপ নাই, খুব ছোট একটা মানুষ এই চার বছর আমার কাছে বড় হতে দেখলাম। দোয়া করবেন সবাই আল্লাহর কাছে যেন সুন্দর জীবনে থাকে।’
আলামিন কেমন করে কোন স্থান থেকে কবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সে বিষয়ে তিশার কোনও স্পষ্ট বক্তব্য মেলেনি। এদিকে দেশে গতকাল (২৩ জুলাই) নাগাদ ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ থাকলেও তানজিন তিশা কোথা থেকে এই পোস্ট দিয়েছেন, সেটিও স্পষ্ট নয়।