অটামনাল মুন। আধুনিক বাংলা সংগীতে অন্যতম মুগ্ধতার প্রতীক। নিজের কণ্ঠে তো বটেই, অন্যের জন্য লিখে-সুর করেও বরাবরই প্রশংসিত তিনি। সেই মুন এবার নিজের একটি প্ল্যাটফর্ম দাঁড়া করাচ্ছেন ধীরলয়ে। যার নাম দিয়েছেন ‘মুন-এর গান’।
এই প্ল্যাটফর্মের উদ্দেশ্য, তার নিজের মতো করে নিয়মিত গান সৃষ্টি ও প্রকাশ করা।
তার ভাষায়, ‘মুন-এর গান একটি পারস্পরিক মেধা বিনিয়োগের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে চায়। এ জন্য আমি নিজের চোখে দেখে এবং নিজের কানে শুনে শিল্পী ও মিউজিসিয়ান নির্বাচন করতে চাই। নিজের পছন্দের বাইরে জনপ্রিয়তার লোভে কিছু করতে চাই না। মানে সৃষ্টিতে স্বাধীনতা চাই, যেটা অন্য ব্যানারে বা অন্যের মতো করে করতে গেলে হয়ে ওঠে না।’
সেই আকাঙ্ক্ষার প্রথম প্রতীক হিসেবে মুন হাজির হয়েছেন রাকিবা ঐশীকে নিয়ে। যিনি আগেও নিজের পরিচয় অর্জন করেছেন সেরাকণ্ঠ রিয়েলিটি শো দিয়ে। প্রকাশ হয়েছে নিজের ক’টি গানও। তবে এবারের হাজিরাটা ঐশীর জন্য ব্যতিক্রম বলেই গণ্য করছেন শ্রোতারা।
সম্প্রতি ‘মুন-এর গান’ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে ঐশীর কণ্ঠে ‘দমকা হাওয়া’। যথারীতি, কথা, সুর ও সংগীতায়োজনে অটামনাল মুন। পিয়ানো বাজিয়েছেন কৌশিক আহমেদ অন্তর। গানটির ভিডিও বানিয়েছেন আশিক-অর-রহমান। তাতে মডেল হিসেবে পাওয়া গেছে মুন-ঐশী দুজনকেই।
গানটির মন্তব্যের ঘরে দারুণ সব প্রশংসা ঝুলছে। ফলে মুন-ঐশী দু’জনেই বেশ স্বস্তিতে আছেন। বলছেন, তারা এমন যুগলবন্দী আরও করবেন; যা ক্রমশ প্রকাশ্য হবে।
না। ঐশীতেই আটকে থাকছেন না মুন। জানালেন, এই ব্যানারে তিনি সব ধরণের গান রাখতে চান, সব রকমের শিল্পীকে তুলে আনতে চান।
মুনের ভাষায়, ‘রক, ফোক, ব্লুজ, ট্র্যাডিশনাল সব ধরনের গান করতে চাই। বড়দের সঙ্গে ছোটদের নিয়েও গান করতে চাই। চাই মানে, এরমধ্যে আমি সেই প্রস্তুতিও নিয়েছি। যা দ্রুত প্রকাশ করতে পারবো। এসব গানেও আমার সিগনেচারটা রাখতে চাই মিউজিক্যালি। বাকিটা শ্রোতাদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করছে।’