ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া শাকিব খান অভিনীত ও রায়হান রাফী নির্মিত ‘তাণ্ডব’ এখনও মহাসমারোহে চলছে সিনেমা হলগুলোতে। মাঝখানে সিনেমাটি পাইরেসির কবলে পড়ে। সেসময় শাকিব খানকে এ বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়নি। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হলেন শাকিব খান।
সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর ২২ জুন প্রথমবারের মতো পেক্ষাগৃহে উপস্থিত হয়েছিলেন শাকিব। রাজধানীর সনি সিনেপ্লেক্সে আয়োজন করা হয় ‘তাণ্ডব’ সিনেমার বিশেষ শো। সেখানেই সিনেমাটি দেখেন ঢাকাই সিনেমার কিং। এ সময় তিনি মুখোমুখি হন গণমাধ্যমকর্মীদের। শাকিব বলেন, ‘বাংলা সিনেমা সম্মানের সঙ্গে আজ পুরো বিশ্বে চলছে। সেই জায়গা নষ্ট করে দিতে একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। অর্থাৎ যে সিনেমাটা ভালো চলছে সেটাকে টার্গেটে নিয়ে পাইরেসি করা হচ্ছে। আমি বলব, এটা শুধু সিনেমার বিরুদ্ধে নয়, এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’
এছাড়া সিনেমার শুরুর আগে শাকিব বলেন, “সেই জাতি সবচেয়ে বেশি উন্নত থাকে যে জাতি সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে যায়। আমাদের সিনেমা ও কৃষ্টি কালচার নিয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছি ঠিক তখনই আমাদের সিনেমা পাইরেসি করে দেওয়া হচ্ছে। ‘বরবাদ’ সিনেমার ক্ষেত্রে আমরা সেটা দেখেছি। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার ক্ষেত্রে আরও আগে পাইরেসি করে দেওয়া হলো।”
তবে পাইরেসি হলেও প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শক যে সিনেমাটি এখনো দেখছে, এজন্য দর্শক ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
শাকিব বলেন, ‘আমি দেশের সিনেমাপ্রেমীদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ, পাইরেসি হওয়ার পরও তারা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখছেন। এখনও আমাদের সিনেমাটি হাউসফুল যাচ্ছে। এটা দর্শকদের এক ধরণের সংগ্রাম। সিনেমা বাঁচাতে প্রত্যেকটি মানুষকে সোচ্চার হয়ে পাইরেসির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’ বলা প্রয়োজন, বিশেষ এই শোতে উপস্থিত ছিলেন রায়হান রাফি, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, রেদওয়ান রনি, গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু, সাবিলা নূর, এ কে আজাদ সেতু, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার, মুকিত জাকারিয়া।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আজমেরী হক বাঁধন, দীপা খন্দকার, মন্দিরা চক্রবর্তী, জেফার রহমান, চয়নিকা চৌধুরীসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান, সাবিলা নূর, জয়া আহসান, আফজাল হোসেন, রোজী সিদ্দিকী, ডা. এজাজ, এফ এস নাঈম, ফজলুর রহমান বাবু, গাজী রাকায়েত প্রমুখ। অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে আফরান নিশো ও সিয়াম আহমেদকে।