করোনাভাইরাসের কারণে হোম-কোয়ারেন্টিনকে কাজে লাগিয়ে কবিতা লিখলেন বলিউডের এ প্রজন্মের অভিনেত্রী কৃতি স্যানন। কবিতার নাম ‘থাম যা, থেহের যা’।
প্রকৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে কবিতাটি রচিত হয়েছে। একে অপরের সঙ্গে সংযোগ সংরক্ষণের জন্য মানুষকে বিরাম নিয়ে ভাবতে বলছে প্রকৃতি।
ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের সঙ্গে নিজের নতুন সৃষ্টিকর্ম শেয়ার করেছেন কৃতি। একটি ভিডিওর সঙ্গে কবিতা পোস্ট করেছেন তিনি। তার কথায়, ‘আমরা বড্ড দ্রুত ছুটছি। মনে হচ্ছে আমাদের থামা প্রয়োজন। অবশ্য থামতে হবে আমাদের!’
ভিডিওতে ২৯ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘কোয়ারেন্টিনের দিনগুলো আমাদের অনেক কিছু করার প্রচুর সুযোগ দিয়েছে, এগুলো করার ফুরসত ছিল না আমাদের। আসলে আমাদের সবসময়ই সময় থাকে, শুধু সময় বের করে নিতে হবে।’
কবিতা আবৃত্তি করে কৃতি বলেন, ‘আমরা দৈনন্দিন জীবনে খুব ব্যস্ত এবং সবসময় তাড়াহুড়োয় থাকি। মাতৃপ্রকৃতির জন্য কী করছি তা আমরা বেমালুম ভুলে যাই। এ নিয়ে চিন্তা করা জরুরি। মনে হচ্ছে, কেউ বিরতির বাটনে চাপ দিয়েছে।’
কৃতির বোন নূপুর স্যানন ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘এই সুন্দর প্রাণের মাঝে অনেক সুপ্ত প্রতিভা আছে।’
‘গালি বয়’ ছবির অভিনেতা সিদ্ধান্ত চতুর্বেদির প্রতিক্রিয়া, ‘বাহ! দারুণ সুন্দর।’
অনেক ভক্ত কৃতির কাব্যপ্রতিভার প্রশংসা করেছেন।
গত ২২ মার্চ ভারতের জনতা কারফিউ চলাকালে আরেকটি ভিডিও শেয়ার করেন কৃতি। এতে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া সমাজের নেপথ্য নায়কদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে বাসন ও চামচ নিয়ে আওয়াজ তুলছেন তিনি।
জনতা কারফিউর দিন কবিতা লিখেছেন বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। দুঃসময়ে যেসব চিকিৎসক-নার্স অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাদের জন্য সবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দেখে আপ্লুত তিনি। তাই কবিতার শুরুতেই বলা হয়েছে, ‘আজ মেরে পাস কোই শব্দ নেহি হ্যায়’ (আজ আমার ভাষা নেই)।
এদিকে কয়েকদিন আগে ‘মিমি’ নামের একটি ছবির শুটিং শেষ করেছেন কৃতি। লক্ষ্মণ উটেকারের পরিচালনায় এতে গর্ভ ভাড়া দেওয়া নারীর চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতের জাতীয় পুরস্কার জয়ী মারাঠি ছবি ‘মালা আই ভাইচি’র হিন্দি রিমেক এটি।