X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

এবার গ্লোবাল অডিয়েন্সের জন্য গান করছেন সাব্বির নাসির

বিনোদন রিপোর্ট
১৮ আগস্ট ২০২০, ২১:০৫আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২০, ২১:৩৪

সাব্বির নাসির সাব্বির নাসির। নব্বই দশকের নিয়মিত শিল্পী হলেও মাঝে ব্যক্তিগত কারণে লম্বা সময় গান থেকে দূরে ছিলেন। সমসাময়িক মিউজিশিয়ান আর বন্ধুদের অনুপ্রেরণায় আবারও স্টুডিওতে ফিরেছেন ২০১৭ সালে। পরপর বেশক’টি বাংলা গান প্রকাশ করে সফলতা পেয়েছেন। সেই সূত্রে এবার তিনি করছেন ইংরেজি গানও, লক্ষ্য দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বাঙ্গনে পৌঁছানো।
গেলো দুই বছরে ব্যাক টু ব্যাক ‘হর্ষ’, ‘ফুল ফোটাবো’, ‘ফাগুন আসছে’, ‘জল জোছনা’, ‘পোকা’, ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’, ‘মৃত জোনাকি’সহ বেশক’টি গানচিত্র প্রকাশ করে আলোচনায় আসেন সাব্বির নাসির।
বিরতির পর ফেরার গল্পটা সাব্বির নাসির বললেন এভাবে, ‘‘লম্বা বিরতির পর প্রথম গান রেকর্ড করি ২০১৮ সালে। তোফায়েল তপনের লেখা, মুনতাসির তুষারের সুর করা গানটির নাম ‘তুমি যদি বলো’। পরীক্ষামূলক একটা গান ছিল এটি। এরপর কোনও রকম একটা মিউজিক ভিডিও করা হয়। গানচিল মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশ হয় এটি। এরপর গীতিকার তাহমিনা পারভিনের আগ্রহে ‘ফাগুন আসছে’ শিরোনামের একটি গানের প্রস্তাব পাই। কিন্তু তখন আমি গাইবার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কারণ, নিয়মিত মিউজিক করবো কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। এরপর এটিও করে ফেললাম। মূলত এ গানটির পরই শ্রোতামহল থেকে বেশ সাড়া পাই। নিজের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। এভাবেই আবার গান ও গিটারের কাছে ফেরা।’
ফেরার পর আর থামেননি সাব্বির নাসির। ধারাবাহিকভাবে গান ও ভিডিও উপহার দেন। পান প্রশংসা আর সফলতাও। সেই রেশ ধরে সম্প্রতি ঘরে তোলেন কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি)-এর প্রতিশ্রুতিশীল তারকা (পুরুষ) বিভাগের সম্মাননা। ‘হর্ষ’ গানটির জন্য পুরস্কৃত হন তিনি।
১৯৯৮ সালে মেটামরফোসিস ব্যান্ডের সঙ্গে ‘জীর্ণ শহরে বৃষ্টি নামে’ অ্যালবামে কাজ করেন সাব্বির নাসির। সে সময় স্টেজ ও সেশন গিটারিস্ট এবং ভোকালিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাই এই যাত্রায় গানে ফেরার পর স্টেজ বা লাইভ শো বেশ মিস করছিলেন সাব্বির নাসির। তিনি বলেন, ‘‘হর্ষ ও ‘জল জোছনা’ প্রকাশের পর টেলিভিশন স্টেশন ও রেডিওতে লাইভ গানের শোতে ডাক পাওয়া শুরু হলো। আমি তখন একা। তাই একটা ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করলে ভালো হতো বলে মনে হলো। তখন বাহাদুর আফজাল (লিড গিটারিস্ট)-সহ বাজানো শুরু করলাম লাইভ শোতে। বলতে বলতে অল্প সময়ে ব্যান্ড গঠন হয়ে গেলো। নাম দেওয়া হলো ‘ব্ল্যাকমুন’। এরপর একটানা অনেক শো শুরু করলাম আমরা। লাইভ শো করার মজাটা পেয়ে গেলাম আবার।’’ সাব্বির নাসির
সামনে কাজের ব্যস্ততা নিয়ে জানতে চাইলে এই গায়ক বলেন, ‘বলতে গেলে অনেক গান এখন পাইপলাইনে আছে আমার। কোনটা কখন রিলিজ হবে তা জানি না। আমার তিন-চার ধরনের গানের শ্রোতা এখন তৈরি হয়েছে। এটা একটা ইউনিক সিচুয়েশন। ফোক তো আসছেই। তাছাড়া ফোয়াদ নাসের বাবু ভাইয়ের সঙ্গে লাকী আখান্দের অনবদ্য সুরে ও গোলাম মোর্শেদ ভাইয়ের কথায় একটি গানের কাজ চলছে। এপিরাসের সঙ্গে একটা প্রজেক্ট রেডি। এছাড়া আমার নিজের লেখা ও সুর করা ইংরেজি গানও তৈরি হচ্ছে। এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করেছি তৌসিফ সৌরিনের সাথে। একটা গান শিগগিরই আসছে আমার সুর ও গোলাম রাব্বি সোহাগের কম্পোজিশন করা। এটি লিখেছেন শাহান কবন্ধ। খুবই ভালো গান, ভিন্ন ধরনের গান।’
ইংরেজি গান করার কারণ! জবাবে সাব্বির নাসির বলেন সংগীত নিয়ে তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার কথা। তার ভাষায়, ‘গ্লোবাল অডিয়েন্সের জন্য এ কাজটি করা। সত্যি বলতে, এখন তো পৃথিবীটাই একটা ছোট গ্রামে পরিণত হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সঙ্গে সংযুক্ত মানুষ। ফলে শিল্পী হিসেবে নিজেকে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি ছড়িয়ে যাওয়া মানে বাংলাদেশটাকেই গানে গানে ছড়িয়ে দেওয়া। বাংলাদেশের পতাকাটা আমি গ্লোবাল গানের বাজারে ওড়াতে চাই।’

/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
কান উৎসব ২০২৪কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
কানের লাল গালিচায় হাঁটতে কী লাগে, জানালেন প্রিয়তী
কানের লাল গালিচায় হাঁটতে কী লাগে, জানালেন প্রিয়তী
অনুরাগ কাশ্যপের সিনেমায় ঋদ্ধি!
অনুরাগ কাশ্যপের সিনেমায় ঋদ্ধি!
কান থেকে ভাবনা: নিজেকে ছোট অনুভব করাটাও দরকার
কান থেকে ভাবনা: নিজেকে ছোট অনুভব করাটাও দরকার
আমরা একে-অপরের খুব কাছের: জাহ্নবী
আমরা একে-অপরের খুব কাছের: জাহ্নবী