গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীদের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ এবং রয়্যালটি আদায়ের লক্ষ্যে নতুন সদস্য নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে সংগীতের সিএমও (কালেকটিভ ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন) বিএলসিপিএস।
বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ। তিনি আরও জানান, ২২ আগস্ট থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এদিন বিকাল ৪টায় সংস্থাটির গুলশানস্থ কার্যালয়ে বসেছিল গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও বিভিন্ন ব্যান্ড দল নিয়ে সাধারণ বৈঠক। এ বৈঠক থেকেই প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। আগামী বেশ কয়েকদিন এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে বলে বিএলসিপিএস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
কার্যক্রমের প্রথম দিনে ফিডব্যাক, ওয়ারফেইজ, সোলস, পেন্টাগন, লালন, আর্টসেল, শূন্য, পাওয়ার সার্জ, ট্রেইনরেক, পরাহ, ওনড্, দৃক ব্যান্ডগুলো নিবন্ধন করে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএলসিপিএস-এর বর্তমান সদস্য ফোয়াদ নাসের বাবু, হামিন আহমেদ ও মানাম আহমেদ। করোনা পরিস্থিতির কারণে উক্ত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সংস্থাটির চেয়ারম্যান সাবিনা ইয়াসমীনসহ শেখ সাদী খান ও সুজিত মোস্তফা। সরাসরি বৈঠকে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্যান্ড তারকা পার্থ বড়ুয়া, বাপ্পা মজুমদার, সংগীত পরিচালক শওকাত, নাভেদ পারভেজ, কণ্ঠশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ প্রমুখ।
বিএলসিপিএস-এর আইন পরামর্শক ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল মিসবাহ এই সময় নতুন নিবন্ধিত সদস্যদের সদস্যভুক্তির বিভিন্ন উপকারিতা এবং সংগঠনটির বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।
গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীদের ন্যায্য অধিকার আদায় ও বিভিন্ন মাধ্যম হতে প্রাপ্য রয়্যালটি সংগ্রহ ও বণ্টনে বিএলসিপিএস সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে প্রতিক্রিয়া জানান সংগঠনটির অন্যতম সদস্য ‘মাইলস’ লিডার ও ‘বামবা’ সভাপতি হামিন আহমেদ।
বাংলাদেশের গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীদের সিএমও হিসেবে বিএলসিপিএস (বাংলাদেশ লিরিসিস্ট, কমপোজার অ্যান্ড পারফরমার্স সোসাইটি) সরকারি অনুমোদন পায় ২০১৪ সালে।