দীপিকার মুঠোফোন জব্দ করেছে এনসিবি

গতকাল (২৬ সেপ্টেম্বর) টানা পাঁচ ঘণ্টা জেরার পর বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের মুঠোফোন জব্দ করেছে ভারতের নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
শোনা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপে যে গ্রুপ চ্যাটিং চলছিল তার অ্যাডমিন এই তারকা। এছাড়াও ফোন জব্দ করা হয়েছে সারা আলি খান ও রাকুল প্রীত সিংহেরও।
অন্যদিকে গ্রেফতারের তালিকা বাড়ছে। করণ জোহরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ধর্ম প্রডাকশনের অন্যতম প্রযোজক ক্ষিতিজ রবি প্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে এনসিবি।
তাই অনেকে মনে করছেন, স্মরণকালে কাঁপুনি ধরানো এমন সময় আগে দেখেনি বলিউড।
এর আগে মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলার সূত্রে সঞ্জয় দত্ত কিংবা কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বা গাড়িচাপা দেওয়ার মামলায় সালমান খানকে নিয়ে যে তোলপাড় হয়েছিল সেগুলোকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা।
হরিণ হত্যা মামলায় বেশ কিছু তারকার নাম থাকলেও এভাবে জেরার মুখে পড়তে হয়নি তারকাদের।
জানা যায়, এদিন দু’দফায় দীপিকার সঙ্গে কথা বলেছে এনসিবি। তার প্রাক্তন ম্যানেজার কারিশমা প্রকাশকে দীপিকার মুখোমুখিও করা হয়েছিল।
দীপিকা কী বলেছেন, এনসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে তা না জানালেও ভারতীয় একটি পত্রিকার দাবি, দীপিকা বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, নিজে মাদক নেননি এবং হোয়াটসঅ্যাপে ‘মাল হ্যায় ক্যা’ বলে তিনি যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেটা মাদক নিয়ে নয়।
অন্যদিকে কারিশমাও একই সুরে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দীপিকা স্বাস্থ্য সচেতন। মাদক সেবন করেন না তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন মুম্বাইয়ের নিজ অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে। এরপরই ওঠে ঝড়। পরিবার থেকে দাবি করা হয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। অনেকে বলেন, তাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে একযোগে কাজ করছে সিবিআই, ইডি ও এনসিবি। এতেই খোঁজ পাওয়া যায় মাদক সংশ্লিষ্টতার। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাইকে মাদকের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। সুশান্তের ম্যানেজার জয়া সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মাদক মাফিয়াদের নাম। একের পর এক নাম আসতে থাকে বলিউড তারকাদের।
প্রায় ৫০ জনের মতো বলিউড সংশ্লিষ্ট নাম এখন এনসিবির হাতে।
সূত্র: এনডিটিভি