X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জরুরি ভিত্তিতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের আহ্বান জাতিসংঘের

বিদেশ ডেস্ক
২০ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:১৮আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:২২
image

সুন্দরবন অঞ্চলের জন্য রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘এক ভয়ানক হুমকি’ উল্লেখ করে এর নির্মাণ কাজ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শিক্ষা-বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো মঙ্গলবার ৩০ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে এই আহ্বান জানিয়েছে।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রর বিরুদ্ধে আন্দোলন

সুন্দরবনের কাছে রামপালে প্রস্তাবিত এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ উদ্যোগে করা হচ্ছে। এটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। প্রতি বছর প্রায় পঞ্চাশ লাখ টন কয়লা এটিতে ব্যবহার করা হবে। ইউনেস্কো সুন্দরবনের কাছে এই বিশাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ বন্ধ রাখতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এরকম একটি প্রকল্প বাংলাদেশে সুন্দরবনের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করবে।

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা (আইইউসিএন) বলেছে, এমন সম্ভাবনা খুব প্রবল যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে হওয়া দূষণ সুন্দরবনের অপূরণীয় ক্ষতি করবে। ইউনেস্কো বলেছে, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এমন কোন জায়গায় সরিয়ে নেয়া উচিৎ, যাতে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি না হয়।

ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার এবং ইন্টারন্যাশনাল কনজার্ভেশন ইউনিয়ন (আইইউসিএন) এর তিনজন বিশেষজ্ঞ সরেজমিনে ঘুরে দেখে এবং বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে বলা হয়েছে, সুন্দরবনের সীমানা থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।

এর পরিবেশগত সমীক্ষার জন্য আইউসিএন যে নির্দেশনা দিয়েছিল, তা ঠিকমত মেনে চলা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয় এই রিপোর্টে। এছাড়া সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য ক্ষতি এড়াতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে ধরণের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং যেরকম আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলা উচিত, সেটাও করা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করা হয়।

ইউনেস্কোর ওই প্রতিবেদনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের বেশ কয়েক ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা জানানো হয়। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা পোড়ানোর পর সেখান থেকে থেকে নির্গত কয়লার ছাইকে সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য প্রধানতম হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত বর্জ্য এবং পানিকে দ্বিতীয় হুমকি গণ্য করছে ইউনেস্কো। এই প্রকল্পকে ঘিরে সুন্দরবন এলাকায় যেভাবে জাহাজ চলাচল বাড়বে এবং ড্রেজিং করার দরকার হবে, সেটিও সুন্দরবনের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে আশঙ্কা জানানো হয়েছে। আর সবশেষে বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে ঐ অঞ্চলের সার্বিাক শিল্পায়ন এবং উন্নয়ন কর্মাকাণ্ডও সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলবে বলে মনে করে ইউনেস্কো।

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে। বাংলাদেশের পরিবেশবাদীরা এবং বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন এর বিরুদ্ধে গত কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছে। ২০১৮ সালে কয়লা ভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার কথা।

সূত্র: গার্ডিয়ান, বিবিসি।

/বিএ/

আপ - /এসএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ মে, ২০২৪)
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে লরি চাপায় মৃত্যু বেড়ে তিন
চট্টগ্রামে লরি চাপায় মৃত্যু বেড়ে তিন
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
গরমে সুস্থ থাকতে কোন কোন পানীয় খাবেন? ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় কখন জরুরি?
গরমে সুস্থ থাকতে কোন কোন পানীয় খাবেন? ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় কখন জরুরি?