X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিসংশনের মুখে পার্ক জিউন-হাই

বিদেশ ডেস্ক
০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:০৭আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:১২
image

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইয়ের বিরুদ্ধে অভিসংশন বিল উত্থাপন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর ওই বিলের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটাভুটি হবে। 

পার্ক জিউন-হাই

প্রধান তিন বিরোধী দল – মিনজু পার্টি, পিপলস পার্টি এবং জাস্টিস পার্টি – অভিশংসনের বিষয়ে একমত হওয়ার পর শুক্রবার ওই বিলটি উত্থাপন করা হয়। বিরোধীদলের নেতারা ক্ষমতাসীন সেনুরি পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যদেরও অভিসংশনের ভোটে অংশ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্টকে অভিসংশনের বিল পাশ করতে দুই তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩০০ সদস্যের পার্লামেন্টে ২০০ জনের সমর্থন দরকার। পার্লামেন্টে ওই তিন বিরোধীদলের ১৭২ জন সদস্য রয়েছেন। অর্থাৎ, অভিসংশনের জন্য বিরোধীদের ভোট ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের ২৮ জনের সমর্থন দরকার।

ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলের ৪০ থেকে ৫০ জন পার্লামেন্ট সদস্য পার্কের অভিসংশনের পক্ষে সমর্থন দেবে। সেনুরি পার্টির সাবেক প্রধান কিম মু সং পার্কের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় অভিসংশন বিল পাশ করাটা সহজ হতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টারি অফিস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরে অভিসংশনের এই বিল সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের হাতে পৌঁছেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি এক বিরল ঘটনা। দেশটির ইতিহাসে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বারের মতো ঘটছে। এর আগে ২০০৪ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট রো মো-হিউনকে পদ থেকে সরানোর জন্য অভিসংশন বিল আনা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, বর্তমান প্রেসিডেন্টের আরও ১৫ মাস মেয়াদ আছে।

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পার্ক। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, তিনি তার বন্ধুকে অবৈধভাবে ক্ষমতার নেপথ্যে থেকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন।

পার্ক জিউন-হাইয়ের বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন।

পার্ক জিউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বন্ধুকে ওই অর্থ তুলতে সাহায্য করেন। তিনি চোই সুন-সিলকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি চোই-এর রাষ্ট্রীয় নথি ফাঁস করতে সহযোগীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ প্রেসিডেন্টের বন্ধু চোই-এর কোনও রাষ্ট্রীয় পদবী নেই।

প্রতারণা, বলপ্রয়োগ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে চোই সুন-সিলকে চলতি মাসের গোড়ার দিকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া গোপন রাষ্ট্রীয় নথি প্রকাশের অভিযোগে প্রেসিডেন্টের অপর এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এসএ/

সম্পর্কিত
লাদাখ সীমান্তে বিরোধচীনের সঙ্গে আলোচনায় আশাবাদী রাজনাথ সিং
তাইওয়ান প্রণালিতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
সর্বশেষ খবর
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী