X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

২০৩০ সালের আগেই অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে চীন

বিদেশ ডেস্ক
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৬:০৪আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৬:০৯

. এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের নাম যুক্তরাষ্ট্র। তবে খুব বেশিদিন এই গৌরব তারা ধরে রাখতে পারবে না। ২০৩০ সালের আগেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের তকমা মার্কিনিদের কাছ থেকে কেড়ে নেবে চীন। শুধু তাই নয়, ২০৫০ সাল নাগাদ অর্থনীতির আকারে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে ভারতও। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক গবেষণা সংস্থা প্রাইসওয়াটারহাউস কুপারসের এক গবেষণায় এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন ম্যাগাজিন ফরচুনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রাইসওয়াটারহাউস কুপারসের গবেষণায় অর্থনীতিতে ২০৫০ সাল নাগাদ শীর্ষ তিন দেশের নাম বলা হয়েছে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে ওই সময় উঠে আসতে পারে ইন্দোনেশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি তিনটি দেশই এখন জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ তিনটি দেশ।
জনসংখ্যাই উৎপাদনশীলতার মূলে রয়েছে বলেই ২০৫০ সাল নাগাদ ওই চিত্র দাঁড়াতে পারে। এখন পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে শীর্ষে মার্কিনিদের অবস্থানের কারণ হলো চীন বা ভারতের শ্রমিক ও মূলধনের উৎপাদনশীলতার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি। কিন্তু ধীরে ধীরে এসব দেশও উৎপাদনশীলতায় এগিয়ে আসছে।
ফরচুনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শতকের বিভিন্ন সময়ে চীনের অর্থনীতিতে উত্থান-পতন ছিল। তবে ওই সময়জুড়ে মার্কিনিরা চীনের অর্থনীতিকে উদারবাদের দিকে উৎসাহ দিয়ে গেছে। চীনের বাজার সংস্কারের কারণে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ভারতের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ভারতকেও মুক্ত বাজার অর্থনীতির দিকে আসতে উৎসাহ জুগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে করে ভারতেও কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
চীন বা ভারতের অর্থনীতেতে যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি একমাত্র বা মুখ্য ভূমিকা পালন করেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব অস্বীকার করার মতোও নয়। এর ফলে এসব দেশের জাতীয় উৎপাদনশীলতা বেড়েছে এবং এর ফলে এসব দেশের জিডিপি বেড়েছে। গোটা বিশ্বেও দারিদ্র্য অনেকটাই কমেছে।
চীন, ভারতের মতো দেশগুলোর এভাবে এগিয়ে যাওয়ার কারণেই এখন অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থান থেকে সরে আসার সময় এগিয়ে আসছে। আগে বা পরে, তাদের শেষ পর্যন্ত কমপক্ষে তিন নম্বরে নেমেই আসতে হবে। মার্কিনিরা এ চিত্র মেনে নিতে না পারলেও চূড়ান্ত বিচারে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এই চিত্র ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন-

নতুন আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরি হবে ৬ মাসের মধ্যে

ফাতেমার জন্য যেভাবে খুলে গেল মার্কিন 'মানবতার নিষিদ্ধ দরজা'

/টিআর/

সম্পর্কিত
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষে ঝুঁকছে পাকিস্তান
রাফাহতে হামলার আশঙ্কা, ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের
হামাসের সংশোধিত প্রস্তাব গাজায় যুদ্ধবিরতি অচলাবস্থা ভাঙতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র
সর্বশেষ খবর
সিনেমা নির্মাণে দিতিকন্যা, নির্বাহী প্রযোজক বাঁধন
সিনেমা নির্মাণে দিতিকন্যা, নির্বাহী প্রযোজক বাঁধন
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী
ওয়াটারএইডে পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রাখবেন ব্রিটেনের রাজা
ওয়াটারএইডে পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রাখবেন ব্রিটেনের রাজা
‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক’
‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক’
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ