পাকিস্তানে পাবলিক স্পেস তথা জনপরিসরে ভালোবাসা দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে দেশটির হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি কার্যালয়েও ভালোবাসা দিবস পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের একদিন আগে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শওকাত আজিজ এ আদেশ দেন।
আব্দুল ওয়াহিদ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিকের দায়ের করা পিটিশনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই আদেশ দিলো। ওয়াহিদ তার আবেদনে দাবি করেন, ভালোবাসা দিবস ইসলামী জীবনবিধান বিরোধী। ভারৈাবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার নামে এ উৎসবের মধ্য দিয়ে অনৈতিকতা, নগ্নতা ও অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি শওকাত আজিজ ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ইনফরমেশন, পাকিস্তান ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পেমরা) এবং ইসলামাবাদ হাইকমিশনকে আদালতের আদেশ দ্রুত কার্যকর করা হয়েছে কি না- তার প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। পাশাপাশি ভালোবাসা দিবস সংক্রান্ত সব ধরনের প্রচারণা, সংবাদ ও ফিচার প্রকাশ বন্ধ করতে দেশের সব প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকেও কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে প্রতিবছরই ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ক্ষেত্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ দিবসটি উদযাপনের পক্ষে মত দেন। আবার কেউ কেউ এর বিরোধিতা করে বিক্ষোভে নামেন। দেশটির প্রধান শহরগুলোর বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, ডেলিভারি সার্ভিস ও বেকারি ভ্যালেন্টাইন্স উপলক্ষে বিভিন্ন ছাড় দিয়ে প্রচারণা চালায়। আর বিরোধীরা আবার পাল্টা প্রচারণা চালায়। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইনও ভালোবাসা দিবস উদযাপন বন্ধ করতে জনগণকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি তখন দাবি করেছিলেন, ‘এটি মুসলিম সংস্কৃতির অংশ নয়। এটি পশ্চিমা সংস্কৃতি’।
/এফইউ/