X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

মাশালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ!

বিদেশ ডেস্ক
১৮ এপ্রিল ২০১৭, ২০:০১আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৫০
image

মাশাল খান পাকিস্তানে আবদুল ওয়ালি খান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার ছাত্র মাশাল খানকে হত্যায় তার নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টতার গুঞ্জন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ষড়যন্ত্রেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দাবি করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক হওয়া একজন শিক্ষার্থী। মাশাল হত্যার ঘটনায় অন্য কয়েকজন সন্দেহভাজনের সঙ্গে আটক হন ওয়াজাহাত নামের ওই শিক্ষার্থী। তিনি পুলিশকে বলেছেন, আবদুল ওয়ালি খান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই তাকে মাশালের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত সাক্ষ্য দিতে বলেছিল। পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন খবরটি জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ইসলাম ধর্মকে অবমাননার অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাশালকে হত্যা করা হয়। কেউ কেউ দাবি করছেন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, তাকে কাঠের তক্তা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সোমবার পুলিশকে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ওয়াজাহাত দাবি করেন, গত ১৩ এপ্রিল তাকে তাদের ক্লাস রিপ্রেজেন্টিটিভ মুদাসসির বশির বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানের অফিসে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে চেয়ারম্যান তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামনে মাশাল খানের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা বা ব্লাসফেমির সাক্ষ্য দিতে বলেন।

ওয়াজাহাত দাবি করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারাসহ ১৫-২০ জন মানুষ তখন চেয়ারম্যানের অফিসে ছিলেন।’ আটক ওয়াজাহাত আরও জানান, ‘তারা বৈঠকটি ডেকেছিলেন মাশালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য, আর তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার সাক্ষী হতেই আমাকে ডেকেছিল বশির।’ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, মাশাল কোনও ধরণের ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা হিসেবে গণ্য হওয়ার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে এমন কোনও প্রমাণই পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরও ওয়াজাহাত পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, মাশাল খান ধর্ম অবমাননা করেছিলেন।

ওয়াজাহাত পুলিশের কাছে দাবি করেন, মাশাল এবং তার সমর্থকদের বাঁচাতে যারা এগিয়ে আসবে তাদেরকে শক্ত হাতে সামলানোর কথা জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান বিলাল বকশ। তিনি মাশালকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন ওয়াজাহাত। জবানবন্দিতে ওয়াজাহাত আরও বলেন, তিনি যদি জানতেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাশালের বিরুদ্ধে কী ষড়যন্ত্র করেছে,তাহলে তিনি ওইদিন ক্যাম্পাসে যেতেন না।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, সম্প্রতি মাশালের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার গুজব ছড়ানো হয়। গুজব সৃষ্টিকারীরা প্রচার করতে থাকেন, ধর্ম অবমাননা হলেও এ ঘটনায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সেই গুজবের জেরেই গণপিটুনিতে মাশালকে হত্যা করা হয়। গণপিটুনির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে। এ হত্যাকাণ্ডের পর বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরই একজন সোমবার (১৭ এপ্রিল) পুলিশকে একটি বিবৃতি দেন। ওয়াজাহাত নামের ওই শিক্ষার্থী বিবৃতিতে স্বীকার করেন তিনিও মাশালের ওপর হামলাকারীদের দলে ছিলেন।

/এফইউ/বিএ/

 

সম্পর্কিত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
সর্বশেষ খবর
‘গরমে অসুস্থ’ হয়ে মারা যাওয়া সেই শ্রমিকের পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
‘গরমে অসুস্থ’ হয়ে মারা যাওয়া সেই শ্রমিকের পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
ওমরাহ করতে স্ত্রীসহ সৌদি আরব যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
ওমরাহ করতে স্ত্রীসহ সৌদি আরব যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
ঢাকার অধস্তন আদালতগুলোতে এসি লাগাতে আইনি নোটিশ
ঢাকার অধস্তন আদালতগুলোতে এসি লাগাতে আইনি নোটিশ
ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছালো
অর্থ আত্মসাতের মামলাড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছালো
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি