X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

অ্যাসাঞ্জের পাশে দাঁড়ালেন নোম চমস্কিসহ শতাধিক বুদ্ধিজীবী

বিদেশ ডেস্ক
১৫ মে ২০১৭, ১৯:০১আপডেট : ১৫ মে ২০১৭, ২১:০৭
image

অ্যাসাঞ্জের পাশে দাঁড়ালেন নোম চমস্কিসহ শতাধিক বুদ্ধিজীবী আইনি জটিলতা থেকে উইকিলিকস এবং এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে রেহায় দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন দার্শনিক নোম চমস্কি, সাবেক গোয়েন্দা অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনসহ শতাধিক বুদ্ধিজীবী। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক খবর থেকে এ কথা জানা গেছে।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও অন্যান্য অ্যাকটিভিস্টদের শতাধিক সদস্য এক খোলা চিঠিতে ট্রাম্পের প্রতি ওই আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠিতে বিচার বিভাগকে অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিকসের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠনের পরিকল্পনা থেকে সরে আসার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন নির্বাচনের দৌড়ে নামার আগে ২০১০ সালে উইকিলিকস সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এটি অসম্মানজনক। আমি মনে করি এর জন্য মৃত্যুদণ্ড বা এ ধরনের কোনও সাজা দেওয়া উচিত।’ অবস্থান বদলে নির্বাচনি প্রচারণায় নামার পর ২০১৬ সালে তিনি বলেন, ‘আমি উইকিলিকসকে ভালোবাসি’। তবে উইকিলিকস ও অ্যাসাঞ্জ প্রশ্নে আবারও ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের সুর বদলের ইঙ্গিত মেলে এপ্রিলে। সে সময় মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস জানান জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ‘গ্রেফতারকে’ যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে।  সেই মন্তব্যের জের ধরেই শতাধিক বুদ্ধিজীবীর ওই দল অ্যাসাঞ্জ এবং উইকিলিকসের পাশে দাঁড়িয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘যদি সাংবাদিকতাসুলভ কাজের জন্য কোনও প্রকাশককে সাজা দেওয়া যায়, তাহলে সমস্ত মুক্ত সাংবাদিকতাকেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখার সুযোগ তৈরি হবে’।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়া জাগানো বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয় ২০১০ সালে। মার্কিন কূটনৈতিক নথি ফাঁসের মধ্য দিয়ে উইকিলিকস উন্মোচন করে মার্কিন সাম্রাজ্যের নগ্নতাকে। দুনিয়াজুড়ে আলোচনায় আসেন ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলোর গোপন তথ্য উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দুনিয়াব্যাপী আধিপত্যবাদবিরোধী মানুষদের প্রতীকি কণ্ঠস্বরে পরিণত হন তিনি। একটি ধর্ষণ মামলা দিয়ে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। মূলত ২০১০ সাল থেকেই অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

/বিএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
মামুনুল হকের জন্য কাশিমপুর কারাগারের সামনে ভক্তদের ভিড়
মামুনুল হকের জন্য কাশিমপুর কারাগারের সামনে ভক্তদের ভিড়
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা