X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

চাল আমদানি বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ

বিদেশ ডেস্ক
২৬ মে ২০১৭, ২৩:৫৪আপডেট : ২৬ মে ২০১৭, ২৩:৫৯

চাল আমদানি বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ মজুদ বাড়াতে চাল আমদানি বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। বন্যায় ঘরোয়া উৎপাদন কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধির রাশ টেনে ধরতেও এটা গুরুত্বপূর্ণ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সরকারের এমন অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

চাল আমদানির উদ্যোগের অংশ হিসেবে বর্তমানে ভিয়েতনাম সফরে রয়েছে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল। সরকারিভাবে চাল আমদানির বিষয়ে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করতে তারা এ সফরে রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চাল উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে এমন অবস্থানের মধ্যেও ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারতের মতো রফতানিকারক দেশগুলোতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন কর্মকর্তারা।

একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশে চালের রিজার্ভ বাড়াতে এবং দাম কমাতে আমরা ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশে চালের দাম বৃদ্ধি এখন রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। এপ্রিলের বন্যার ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মজুদের পরিমাণও ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ওই বন্যার ফলে দেশে সাত লাখ টন চাল নষ্ট হয়।

কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, বেসরকারি উদ্যোগে চাল আমদানিকারকদের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়া হবে না বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষকদের কথা চিন্তা করেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত।

বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মতো শীর্ষ চাল আমদানিকারক দেশগুলোর চাহিদার কারণে ভিয়েতনামেও চালের দাম বেড়েছে। এক বছরের মধ্যে চলতি সপ্তাহে দেশটিতে চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ভিয়েতনামের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটি থেকে শিগগিরই আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ টন সাদা চাল আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ। এছাড়া ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ ভিয়েতনাম থেকে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনার রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের।

ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর চালের প্রধান আমদানিকারক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বাংলাদেশ। মার্কিন কৃষি দফতরের ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী, চাল আমদানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। এরপর থেকে বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানি বন্ধ রাখে। তবে বেসরকারি খাতে ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি অব্যাহত রাখেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।

বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন করে। উৎপাদিত চালের অধিকাংশই দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাবারের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। তবে বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশকে চাল আমদানি করতে হয়।

/এমপি/

সম্পর্কিত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
সর্বশেষ খবর
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র
ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র
এক উপজেলায় ১৩ প্রার্থীর সবাই আ. লীগের
এক উপজেলায় ১৩ প্রার্থীর সবাই আ. লীগের
শিরোপাজয়ী দল কি কোটি টাকা পাবে?
ফিরছে সুপার কাপশিরোপাজয়ী দল কি কোটি টাকা পাবে?
রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে ইউক্রেন: গোয়েন্দা কর্মকর্তা
রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে ইউক্রেন: গোয়েন্দা কর্মকর্তা
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ