X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

‘আল্লাহর দেওয়া তৌফিকেই’ অর্ধশত তীর্থযাত্রীকে বাঁচালেন চালক সালিম

বিদেশ ডেস্ক
১১ জুলাই ২০১৭, ১৮:৪৫আপডেট : ১১ জুলাই ২০১৭, ১৮:৪৫
image

‘আল্লাহর দেওয়া তৌফিকেই’ অর্ধশত তীর্থযাত্রীকে বাঁচালেন চালক সালিম

সোমবার রাতে কাশ্মিরে অমরনাথ মন্দির থেকে বাসে করে ফেরার সময় জঙ্গি হামলার কবলে পড়েন গুজরাট থেকে সেখানে যাওয়া তীর্থযাত্রীরা। বাসের সামনে এসে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। প্রাণ হারায় ৭ তীর্থযাত্রী। আহত হয় আরও ১৯ জন।  ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারতো। তবে বাস চালকের বীরত্বে প্রাণ বেঁচে যায় অর্ধশতাধিক যাত্রীর।

ধর্মীয় পরিচয়ে হিন্দু পূণ্যার্থীদের প্রাণ বাঁচানো সেই চালক একজন মুসলিম। শেখ সালিম গফুর নামে ওই চালকের সাহসিকতা ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় সেদিন প্রাণ বাঁচে যাত্রীদের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম করে ‘৭ জনকে রক্ষা করতে পারেননি, তবে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন সালিম’।

সোমবার রাতে বাসে করে অমরনাথ মন্দির থেকে ফেরার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় অনন্তনাগ জেলায় সংঘর্ষের কবলে পড়েন গুজরাট থেকে আসা ওই তীর্থযাত্রীরা। সংঘর্ষে অন্তত সাত তীর্থযাত্রী নিহত নিয়েছেন। নিহতদের ছয়জনই নারী। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ডজনখানেক তীর্থযাত্রী।

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জঙ্গিরা প্রথমে চালককে লক্ষ্য করেই গুলি চালায়। তখন মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে বাস চালাতে থাকেন সালিম। প্রায় দুই কিলোমিটার চালানোর পর গিয়ে পৌঁছান এক সেনা ক্যাম্পে।  সালিম নিজেও জানেন না কিভাবে এটা পারলেন। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘হয়তো আল্লাহ আমাকে তৌফিক দিয়েছিলেন। প্রথমে তারা আমাকে লক্ষ্য করেই গুলি চালায়। আমি পাশ কাটিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দেই। জানি না তখন আমি কি চিন্তা করেছিলাম। শুধু বুঝতে পারছিলাম এখান থেকে আমাদের পালাতে হবে।’

নিজের প্রাণ বিপন্ন করে বহু পূণ্যার্থীকে বাঁচানো চালকের এই বীরত্বের প্রশংসা করেছেন যাত্রীরাও। সবাই জানান, সালিমের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বেঁচে গেছেন সবাই। কাশ্মিরের পুলিশ প্রধান মুনির খান বলেন, ‘গোলাগুলি সত্ত্বেও সালিম গাড়ি চালাতে থাকে। সবাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। সে থেমে গেলে আরও অনেকের মৃত্যু হতো। সে দারুণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।’

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিও সালিমের প্রশংসা করে বলেছেন, আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাকে সাহসিকতার পুরষ্কার দেওয়ার জন্য সুপারিশ করবো আমি। সালিমকে নিয়ে গর্বিত তার পরিবারও। তার ভাই জাভেদ মির্জা বলেন, ‘সে আমাকে সাড়ে নয়টার দিকে ফোন দিয়েছিলো। সাতজনকে বাঁচাতে না পারলেও ৫০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গেছে সে। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত।’

/এমএইচ/বিএ/

সম্পর্কিত
বাংলাদেশে পাচারের আগে আড়াই কোটি রুপির হেরোইন জব্দ
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নাটকীয় উন্নতি হয়েছে: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাচার হওয়া বোনকে নিতে এসে কলকাতায় অসহায় দশায় চট্টগ্রামের তরুণ
সর্বশেষ খবর
ঢেউয়ের আঘাতে ছিটকে পড়ে সাগরে নিখোঁজ জেলে
ঢেউয়ের আঘাতে ছিটকে পড়ে সাগরে নিখোঁজ জেলে
মোসাদ্দেকের মতে চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার আবাহনী
মোসাদ্দেকের মতে চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার আবাহনী
মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নারী নিহত
মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নারী নিহত
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
সর্বাধিক পঠিত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’