পবিত্র জেরুজালেম নগরী নিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণা প্রমাণ করেছে ইন্তিফাদা আন্দোলন ছাড়া ফিলিস্তিন সংকটের কোনও সমাধান সম্ভব নয়। যে কেউ যে কোনও উপায়ে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ক্ষতি করতে পারবে তা আল্লাহ তাআলা’র দরবারে সৎকাজ হিসেবে গৃহীত হবে। শুক্রবার জুমার খুতবায় এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রভাবশালী শিয়া আলেম এবং তেহরানের জুমার নামাজের অস্থায়ী খতিব আয়াতুল্লাহ আহমাদ খাতামি।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, শুধু মুসলিম বিশ্বই এই অবিবেচনাপ্রসূত কাজের নিন্দা জানায়নি। আমেরিকার মিত্ররাও এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। দুনিয়ার নানা দেশে ট্রাম্পের ঘোষণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু শুধু প্রতিবাদ যথেষ্ট নয়। বিশ্বের সব দেশে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের তলব এবং ইহুদিবাদী দূতাবাস বন্ধ করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে আধিপত্যকামী শক্তির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শান্তিকামী দেশগুলোর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
আয়াতুল্লাহ আহমাদ খাতামি বলেন, মার্কিন সরকারের ঘুম হারাম হওয়ার আগ পর্যন্ত ইরান নিজের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়াতেই থাকবে। তবে তেহরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার সঙ্গে শত্রুদের সক্ষমতার পার্থক্য রয়েছে। শত্রুরা চায় আগ্রাসন চালাতে আর ইরানের উদ্দেশ্য আত্মরক্ষা করা।
তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল নামক উন্মাদ যদি কখনও ইরানে আগ্রাসন চালানোর মতো ভুল করে তাহলে তেল আবিব ও হাইফা শহরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুতপ্ত হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আলী আকবর বেলায়েতি। তেহরানে অনুষ্ঠিত ৩১তম আন্তর্জাতিক ইসলামি ঐক্য সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত মুসলিম বিশ্বে কাছে মার্কিন রাজনীতির চূড়ান্ত বিপর্যয় ডেকে আনবে। সূত্র: পার্স টুডে।