নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩৪ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ জানায়, সবগুলো মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করতে আরও কিছুদন সময় লাগবে।
নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছে ফরেনসিক বিভাগ। বিভাগের প্রধান ড. প্রমোদ শ্রেষ্ঠ বলেন, ‘আটটি দেহ ছাড়া আমরা কারও পরিচয় শনাক্ত করতে পারিনি। আমাদের আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মরদেহের অবস্থার ওপর নির্ভর করে যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হতে কতদিন সময় লাগবে। অনেক সাধারণ ময়নাতদন্ত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে করা সম্ভব। আর পুড়ে যাওয়া মরদেহের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া একটু সময় লাগে।
ফরেনসিক বিভাগের ড. হারিহার ওয়াস্তি বলেন, বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের শনাক্ত করা কঠিন। তাদের অনেকগুলো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরীক্ষা করেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গত সোমবার ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিমানটি। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয় এটি। দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। প্রমোদ শ্রেষ্ঠ বলেন, ‘আমরা মাত্র আটজনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি। বাকি মরদেহ ঝলসে যাওয়ায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।’ তবে এখনও তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রী ও পাইলটের টক্সিসিটি পরীক্ষা করা হচ্ছে এখন। ডা. প্রমোদ বলেন, যেকোনও বিমান দুর্ঘটনার পরে এই টক্সিসিটি পরীক্ষা করা হয়। এতে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা কোনও বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা।
এছাড়া কেউ জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন কিনা সেটাও জানা সম্ভব হবে। এই পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরি করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি। কেউ মদ্যপ ছিলেন কিনা বা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা সেটা পরীক্ষা করবেন চিকিৎসকরা।