X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় গির্জায় বোমা হামলাকারীরা একই পরিবার সদস্য

বিদেশ ডেস্ক
১৩ মে ২০১৮, ২১:৩২আপডেট : ১৩ মে ২০১৮, ২১:৩৯

 

ইন্দোনেশিয়ার তিনটি গির্জায় আত্মঘাতি বোমা হামলায় জড়িতরা একই পরিবারের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার দেশটির সুরাবায়া শহরে ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। পুলিশ বলছে, পরিবারটির মা ও দুই শিশু একটি গির্জায় গিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। আর বাবা ও দুই ছেলে মিলে আরও দুটি গির্জায় বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে অনেক মানুষ আহতও হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায় গির্জায় বোমা হামলাকারীরা একই পরিবার সদস্য

২০০৫ সালের পর রবিবারের হামলাই ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বড় হামলা। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ প্রধান তিতো কারনাভিয়ান বলেন, পরিবারটি ইন্দোনেশিয়ায় আইএস’র সহযোগী সংগঠন জামিয়াহ আনসারুত দাওলাহ (জেএডি) সংগঠনের সদস্য ছিল। তারা সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠিটির সঙ্গে সময়ও কাটিয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।  

রবিবারের হামলায় পরিবারটির বাবা বোমাবাহী একটি গাড়ি চালিয়ে সুরাবায়ার কেন্দ্রীয় পেন্টেকোস্টাল চার্চে বিস্ফোরণ ঘটায়। মা ও দুই শিশু কন্যা তাদের শরীরের সঙ্গে বোমা বেঁধে নিয়ে দিপোনেগোরো ইন্দোনেশিয়ান ক্রিশ্চিয়ান চার্চে গিয়ে আত্মঘাতী হয়। পরিবারটির ১৬ ও ১৮ বছর বয়সী দুই ছেলে মোটরসাইকেল চালিয়ে সান্টা মারিয়া ক্যাথলিক চার্চে হামলা চালায়।

পুলিশকে উদ্ধৃত করে জাকার্তা পোস্ট জানায়, প্রথম হামলাটি চালানো হয় স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার সময়। এর ৫ মিনিট পরে অন্য দুটি হামলা চালানো হয়। টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে একটি গির্জার প্রবেশমুখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে। খবরে বলা হয়, আরও কয়েকটি গির্জায় হামলা বানচাল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ইন্দোনেশিয়ায় গির্জায় বোমা হামলাকারীরা একই পরিবার সদস্য

একটি বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো বিদোদো এই হামলাকে ‘বর্বর’ বলে বর্ণনা করেন। ওই সময় তিনি ঘটনা তদন্ত ও সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবারই তারা পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর এলাকায় জেএডি সদস্য সন্দেহে চারজনকে হত্যা করেছে ও  দুইজনকে  গ্রেফতার করেছে।

এর আগে ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে একটি মদের দোকান ও নৈশক্লাবে দুটি বোমা হামলা চালায় আল কায়েদার সহযোগী সংগঠন। জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাটিতে ওই হামলায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। এরপর ২০০৫ সালের মে মাসে সুলাবিসি দ্বীপে বোমা বিস্ফোরণে ২২ জন নিহত হয়। তার ৬ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বালি দ্বীপে আরেক বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হয়।  

/আরএ/
সম্পর্কিত
তাইওয়ান প্রণালিতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
সর্বশেষ খবর
ওটিটিতে মঞ্চনাটক ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’
ওটিটিতে মঞ্চনাটক ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’
দেশকে আমার অনেক কিছু দেওয়ার বাকি: সুমনা
দেশকে আমার অনেক কিছু দেওয়ার বাকি: সুমনা
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কি দ্বিমুখিতা এবং আত্মপ্রতারণা নয়?
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কি দ্বিমুখিতা এবং আত্মপ্রতারণা নয়?
চার দিনের সফরে নেদারল্যান্ডস যাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী
চার দিনের সফরে নেদারল্যান্ডস যাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
বিসিএসে সফলতায় এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা
বিসিএসে সফলতায় এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ ৩ জন বরখাস্ত
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ ৩ জন বরখাস্ত
চট্টগ্রামে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
চট্টগ্রামে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!