X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

‘ইহুদি রাষ্ট্র’ গঠনের ইসরায়েলি আইন প্রত্যাখ্যান করলো মিসর

বিদেশ ডেস্ক
২২ জুলাই ২০১৮, ১৪:২২আপডেট : ২২ জুলাই ২০১৮, ১৪:২৬

‘ইহুদি রাষ্ট্র’ গঠনে ইসরায়েলে সদ্য পাশ হওয়া আইন প্রত্যাখ্যান করে মিসর বলছে, ওই আইন মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির সম্ভাবনা বিনষ্ট করবে। শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আইন ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিজেদের মাতৃভূমিতে ফেরার অধিকার ক্ষুণ্ন করবে। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে জাতিরাষ্ট্র সংক্রান্ত ওই আইন পাশ হয়। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি
ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে পাস হওয়া ওই আইনে দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ঐতিহাসিকভাবেই ইহুদিদের জন্মভূমি আখ্যা দেওয়া হয়।  বলা হয়, সঙ্গত কারণেই এখানকার মাটিকে নিজেদের দাবি করার অধিকার রয়েছে তাদের। আইনে অবিভক্ত জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পাস হওয়ার পর ওই আইনের নিন্দা জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষসহ আরব নাগরিকেরা এই আইনকে বর্ণবাদী আইন আখ্যা দেয়। শনিবার নিন্দা জানানোর তালিকায় যোগ হয় মিসরের নাম।

শনিবার মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি নেসেটে পাশ হওয়া ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আইনকে প্রত্যাখান করছে আরব রিপাবলিক অব ইজিপ্ট (মিসরের আনুষ্ঠানিক নাম)। বিবৃতিতে বলা হয়, এতে শান্তি অর্জনের সুযোগ ও ফিলিস্তিনি ইস্যুতে একটি বিস্তৃত সমাধানে পৌঁছানোর সুযোগ নষ্ট হবে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময়ে নিজেদের ঘর থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের অধিকার রক্ষার ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে ওই আইন। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের নিজেদের বাড়িতে ফেরার অধিকারের কথা বলা হয়েছে।

প্রথম আরব রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে মিসর। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে স্বাক্ষরিত ক্যাম্প-ডেভিড চুক্তি নামে পরিচিত ওই চুক্তির আওতায় সিনাই উপত্যকা মিসরকে ছেড়ে দেয় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। তবে মিসর ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর দখলকৃত সিরিয়ার গোলান উপত্যকা, পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে ইসরায়েলের সরে যাওয়ার দাবি তুলতে থাকলে দুই দেশের সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করে।

 

/জেজে/বিএ/
সম্পর্কিত
চুক্তি হোক বা না হোক রাফাহতে ইসরায়েলি অভিযান চলবে: নেতানিয়াহু
হামাসকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
গাজায় যুদ্ধবিরতি নাকি রাফাহতে হামলারাজনৈতিক সংশয়ের মুখোমুখি নেতানিয়াহু
সর্বশেষ খবর
দুবাইতে বিশ্বের ২৩ নম্বর চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
দুবাইতে বিশ্বের ২৩ নম্বর চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
বরিশালে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক থ্রি-হুইলার ভাংচুর
বরিশালে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক থ্রি-হুইলার ভাংচুর
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
সর্বাধিক পঠিত
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ