X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

শান্তিচুক্তিতে মার্কিন দূতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে তালেবান

বিদেশ ডেস্ক
১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০২:২১আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৩১

আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নিযুক্ত বিশেষ দূতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে তালেবান। শুক্রবার মার্কিন দূত জালমায় খালিজাদের সঙ্গে দেখা করেন তালেবান কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

শান্তিচুক্তিতে মার্কিন দূতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে তালেবান

নাইন ইলেভেনের হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরু হয়। কিন্তু ১৭ বছরেও তারা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৪ সালে আফগান তালেবানের বিরুদ্ধে ওই যুদ্ধ শেষ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী এখনও সেখানে রয়ে গেছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি আফগান সেনাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে তাদের সেনারা। 

গত জানুয়ারিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক জরিপে বলা হয়,আফগানিস্তানের প্রায় ৭০ ভাগ এলাকায় তালেবানদের তৎপরতা রয়েছে। আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে থাকে তালেবান। যুদ্ধের ইতি টানার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে একটি সমঝোতায় যেতে চাইছে। সমস্যা হচ্ছে তালেবানদের শর্ত নিয়ে। তালেবান যোদ্ধারা চায় সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। আর যুক্তরাষ্ট্র চায়, তালেবান যোদ্ধাদের আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসাতে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, আফগানিস্তানে ইস্যুতে দুই পক্ষই শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজছি। ভবিষ্যতেও এমন আলোচনায় অংশ নিতে আমরা প্রস্তুত।

শনিবার কাবুলে পৌঁছেছেন খালিজাদ। সেখানে তিনি আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে দেখা করেন। তালেবানের সূত্র জানায়, দুই পক্ষই কঠিন শর্ততে পৌঁছেছে। দলের এক সিনিয়র সদস্য বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আটজনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এটা আমাদের পরিচয় পর্ব ছিলো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক তালেবান কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই পক্ষই শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছে।’ তবে তালেবানের দাবি, আফগান সরকার কর্তৃক আটক সব তালেবান সেনাদের মুক্তি দিতে হবে এবং বিদেশি সেনা সরিয়ে নিতে হবে।

 

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
লাদাখ সীমান্তে বিরোধচীনের সঙ্গে আলোচনায় আশাবাদী রাজনাথ সিং
তাইওয়ান প্রণালিতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
সর্বশেষ খবর
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী