X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

সু চিকে নিয়ে মিথ্যা ছড়াচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী?

মাহাদী হাসান
২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৩আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩১
image

রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি আরাকান আর্মিকে নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন; মিয়ানমার সেনাবাহিনী এমন দাবি করলেও এর সত্যতা সংশয়ের মুখে পড়েছে। স্বাধীনতা দিবসের দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ওই সংগঠন হামলা চালায়। একদিনের মাথায় প্রেসিডেন্ট দফতর থেকে আরাকান আর্মিকে নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই নির্দেশনা সু চির কিনা, তা জানতে চেয়েও বেসামরিক প্রশাসনের কাছে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। একে গোপনীয় বিষয় উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা। মিয়ানমার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিদ্ধান্তটি আদতে সেনাবাহিনীর নিজের।

অং সান সু চি

১৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) নেপিদোতে এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল তুন তুন নি দাবি করেন, ৭ জানুয়ারি বৈঠকে আরাকান আর্মিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী বলে আখ্যা দিয়ে তাদের নিশ্চিহ্ন করার নির্দেশ দেন সু চি। তার দাবি ছিল, আরসার(ভিন্ন ধর্মাবলম্বী) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আরাকান আর্মির(বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী) বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এমন প্রশ্ন এড়াতেই রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা এমন নির্দেশ দিয়েছেন। সু চির নামে সেনাবাহিনী যে বক্তব্য হাজির করেছে, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রেসিডেন্ট দফতর।

১৯ জানুয়ারি (শনিবার) সাংবাদিকদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট দফতরের মহাপরিচালক উ জাও তায় জানান, প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের জমা দেওয়ার জন্য একটি নথি তৈরি করা হয়েছে। ওই নথিকে ‘বিশেষায়িত তথ্য’ (প্রিভিলেজড ইনফরমেশন) আখ্যা দিয়ে তিনি জানান, এ নিয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। আইনজীবী উ খিন মং জো এই ধারার তথ্যকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘বিশেষায়িত তথ্য’ হলো খুবই গোপনীয় তথ্য। আরেকদিক থেকে বললে, যে তথ্যে বিশেষ ব্যক্তির প্রবেশাধিকার থাকে সেটাই ‘বিশেষায়িত তথ্য’। এটি বিশেষ মাত্রার তথ্য।

প্রেসিডেন্ট দফতরের এই অবস্থান নিয়ে সেনাবাহিনীর বক্তব্য জানার চেষ্টা করে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী। তবে সেনা-মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয়নি তারা। 

কথিত গণতান্ত্রিক উত্তোরণের নামে মিয়ানমারে আদতে জারি রয়েছে সেনাশাসন। সংবিধান অনুযায়ী দেশটির পার্লামেন্টের এক চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং সীমান্তসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে। শক্তিশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের ১১টি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনেও রয়েছেন সেনাবাহিনী মনোনীত ব্যক্তিরা। গণতান্ত্রিক সরকার বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে সেনা সংখ্যাগরিষ্ঠ এই পরিষদের।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক ও মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন পরামর্শক হান্টার মার্স্টন ইরাবতীকে বলেছেন, ‘বাস্তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বেসামরিক নিয়ন্ত্রণের আওতাধীন নয়, তারা স্বনিয়ন্ত্রিত। আমার খুবই সন্দেহ হচ্ছে, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বড় মাপের দমন অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্তটি সেনাবাহিনীর। এনএলডির বেসামরিক প্রশাসনের পক্ষে সিন্ধান্তটি সমর্থন না করার কোনও সুযোগ ছিল না।’

আরাকান আর্মিকে নিশ্চিহ্ন করার সিদ্ধান্তটি সু চির নামে হাজির করার প্রসঙ্গে ইয়াঙ্গুনের একজন সাংবাদিক ‍উ থিহা থোয়ে বলেন, ‘সেনাবাহিনী দেখাতে চায় যে তারা সু চি নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন। এবং সব নিয়ন্ত্রণ সু চির কাছে।’

/বিএ/
সম্পর্কিত
তাইওয়ান প্রণালিতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
সর্বশেষ খবর
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি
পদ্মশ্রী পাওয়া শিল্পী এখন দিনমজুর!
পদ্মশ্রী পাওয়া শিল্পী এখন দিনমজুর!
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়