কাতারের বরাদ্দ করা অর্থ থেকে পরিবারপ্রতি একশো মার্কিন ডলার পাওয়া শুরু করেছে গাজার দরিদ্র বাসিন্দারা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে শনিবার গাজা উপত্যকার একটি পোস্ট অফিস থেকে ওই টাকা গ্রহণ করতে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়ায় সেখানকার বাসিন্দারা। কাতারভিত্তিক আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি এলাকায় সহায়তা দিতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় উপসাগরীয় দেশটি ৯০ লাখেরও বেশি অর্থ পাঠিয়েছে। চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চুক্তি পরিবর্তনের অভিযোগ তুলে ওই অর্থ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় গাজার শাসক দল হামাস। 
প্রায় একযুগ ধরে ইসরায়েরের অবরোধের বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে গাজার অর্থনীতি। প্রতিদিনই দরিদ্র হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা। সংকুচিত হচ্ছে মৌলিক নাগরিক সেবা। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের নভেম্বরে অপেক্ষাকৃত শান্ত সীমান্তের প্রতিশ্রুতিতে কাতারের কাছ থেকে প্রতি মাসে দেড় কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা পেতে একটি অনানুষ্ঠানিক চুক্তি করে ইসরায়েল-কাতার ও হামাস। চুক্তি অনুযায়ী দোহার পাঠানো অর্থ ইসরায়েলের অভ্যন্তর দিয়ে গাজায় প্রবেশের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ওই চুক্তি পরিবর্তনের অভিযোগ তোলে হামাস। শুক্রবার কাতার ঘোষণা দেয় যে তারা ওই অর্থ জাতিসংঘের সমন্বয়ে মানবিক কর্মসূচিতে ব্যবহার করতে পারবে।
কাতারের বরাদ্দ করা অর্থের বেশিরভাগই গাজার সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন ভাতা পরিশোধের কথা রয়েছে। তবে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে গাজার দরিদ্র বাসিন্দারা প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডলার সহায়তা পাবে।
শনিবার গাজার দরিদ্রতম বাসিন্দারা প্রত্যেকে একশো মার্কিন ডলার করে পাওয়া শুরু করেছে। গাজায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনি দূত মোহাম্মদ আল এমাদি জানিয়েছেন, গাজার ৯৪ হাজার পরিবার এই অর্থ সহায়তা পাবে। শনিবার অর্ধেক এবং রবিবার বাকি অর্ধেক অর্থ বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, গাজার দরিদ্র পরিবারগুলো চার মাসে মোট চারমো মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা পাবে।
