X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউ ইয়র্কে প্রথমবারের মতো সাধ্যের মধ্যে আবাসন সুবিধা বাংলাদেশিদের

ব্রজেশ উপধ্যায়, যুক্তরাষ্ট্র
০৭ মার্চ ২০১৯, ০৯:০৭আপডেট : ০৭ মার্চ ২০১৯, ০৯:২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে শীর্ষস্থানীয় ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশিদের জন্য ৭ কোটি ডলারের আবাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছে এক বাংলাদেশি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এতে করে নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য সহজেই আবাসন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

নিউ ইয়র্কে প্রথমবারের মতো সাধ্যের মধ্যে আবাসন সুবিধা বাংলাদেশিদের

বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ সার্ভিস নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি থোরোবার্ড কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ১৬৭ ইউনিটের হাউসিং প্রকল্পের কাজ শুরু করছে। বাংলাদেশিরা যেন সহজে ও কমমূল্যে এই সুবিধা পেতে পারে সেটাই তাদের মূল পরিকল্পনা। এই আবাসন প্রকল্পটি শুরু হবে এমন জায়গায় যেখানে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের সংখ্যা বেশি।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিসবাহ আবেদীন বাংলাট্রিবিউনকে বলেন,  এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে বাঙালি ও বাঙালি মুসলিমরা সাধ্যের মতে হাউসিং প্রকল্পের অংশ হতে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। আশা করছি অন্তত ১০০ পরিবারের ৫ হাজার বাঙালি এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশির বসবাস। ২০১১ সালেল হিসেবে অনুযায়ীয় সেখানে অন্তত ৭৪ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী বসবাস করছেন। তবে আবাসন সমস্যাই তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে কয়েকজনমিলে একই বাসায় থাকতে হচ্ছিলো তাদের। এগুলো শুধু ব্যয়সাপেক্ষই নয়, বরং ঝুঁকিপূর্ণও। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিমাসে ৫০০ থেকে এক  হাজার ডলারে মিলবে ২ বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট, বাইরে যা ২ হাজার ডলার।

এই প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের হাউসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন এক্সট্রিমলি লো অ্যান্ড লো ইনকাম অ্যাফোরিডিবিলিট প্রোগ্রামের অনুদান রয়েছে। শহরের মেয়র বিল দে ব্লাসিও ২০২৬ সালের মধ্যে তিন লাখ আবাসন তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। আর প্রথম প্রকল্পেই মডিউলার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রজেক্টের ডেভেলপার থোরোবার্ডের ব্যবস্থপানা পরিচালক থমাস ক্যাম্পবেল বলেন, এই প্রযুক্তিই বাড়ি নির্মাণের সবচেয়ে আধুনিক উপায়। এই প্রযুক্তিতে সৃষ্ট বর্জে্যর পরিমাণ কম থাকে। এলাকাবাসীর হয়রানির মাত্রাও কম। নির্মাণকাজও হয় অত্যন্ত শক্তিশালী।

আবেদীন বলেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে আবাসন প্রকল্প  তৈরি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা লটারির মাধ্যমে বাসা দেবো। আমি নিশ্চিত যে ১৬৭টির মধ্যে অন্তত ১০০টি বাসা বাংলাদেশিরা পাবেন।

/এমএইচ/
সম্পর্কিত
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ইসরায়েল কি যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হবে?
এ বছর পুলিৎজার পেলো ৩ সংবাদমাধ্যম
সর্বশেষ খবর
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট