X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাই যথেষ্ট নয়: যুক্তরাষ্ট্রকে জাতিসংঘ দূত

বিদেশ ডেস্ক
১৯ জুলাই ২০১৯, ২১:৩৪আপডেট : ১৯ জুলাই ২০১৯, ২১:৩৬
image

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে যথেষ্ট মনে করছেন না জাতিসংঘের দূত ইয়াংহি লি।  এ সপ্তাহে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হলাইংসহ আরও তিন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইয়াংহি লি বলছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যায় সংশ্লিষ্ট সেনাসদস্যদের বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

ইয়াংহি লি

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা নিপীড়নকে জাতিগত নিধন বললেও গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি। তবে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা জোরালো হওয়ার পর মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। একই বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রোহিঙ্গা নিপীড়নকে ঘৃণ্য জাতিগত নিধনযজ্ঞ আখ্যা দেন। কাছাকাছি সময়ে রাখাইনে নিধনযজ্ঞের হোতা আখ্যা দিয়ে মং মং সো নামের এক সেনাকর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।  ২০১৮ সালের অক্টোবরে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তিনজন সামরিক কর্মকর্তা ও দুইটি সেনা ব্রিগেডের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। সবশেষ গত মঙ্গলবার দেশটির সেনাবহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন।

বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে লি বলেন, যে সেনাকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, ‘তারা কখনোই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে যায়নি…...আসুন আরো বাস্তববাদী হই।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের পদক্ষেপ যথাযথ আখ্যা দিয়ে অন্যান্য দেশকেও একই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে লি বলেছেন, সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং, উপ সেনা প্রধান সোয়ে উইন এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও এবং অং অং ছাড়াও রোহিঙ্গা নিপীড়ন বিষয়ে ২০১৮ সালে প্রকাশিত জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে অন্য যে দুইজন সেনা কর্মকর্তার নাম এসেছে তাদের সবাইকে গণহত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় জীবন বাঁচাতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ লাখে।

/বিএ/
সম্পর্কিত
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেসা সেন্টার’ প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন বাইডেন
মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা
সর্বশেষ খবর
স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের
স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের
দুর্নীতির দায়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটারকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির দায়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটারকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
এসএসসি’র ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা
এসএসসি’র ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা
সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ সেনা আহত
সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ সেনা আহত
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক