X
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

আইএস জঙ্গিদের কাছ থেকে এক টন বিস্ফোরক জব্দ

বিদেশ ডেস্ক
০৩ আগস্ট ২০১৯, ২০:১৩আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০১৯, ২০:১৪

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে আইএস জঙ্গিদের কাছ থেকে এক টন বিস্ফোরক জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিস্ফোরক তৈরির শত শত উপাদান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তুর্কি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এ অভিযান পরিচালনা করে। শনিবার তুর্কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড। আইএস জঙ্গিদের কাছ থেকে এক টন বিস্ফোরক জব্দ
তুর্কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সেন্ট্রাল বাব জেলা থেকে জঙ্গিদের দখলে থাকা এসব বিস্ফোরক জব্দ করা হয়। অভিযানে বেশকিছু আইএস জঙ্গিও ধরা পড়ে যারা তুরস্কে প্রবেশ করে বোমা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।

তুরস্ক জানিয়েছে, এ যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে বহু বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।

এমন সময়ে তুরস্ক আইএসবিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করলো যখন জঙ্গিদের ইউরোপে ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের লনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ট্রাম্প বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আড়াই হাজার জঙ্গি সিরিয়া ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আটক রয়েছে। তাদের নিজ দেশে ফেরাতে হবে। ইউরোপ যদি তাদের ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে ওয়াশিংটন এসব জঙ্গিকে মুক্তি দেবে যাতে তারা নিজ দেশে ফিরে যায়।

ইরাকে ২০০৩ সালের মার্কিন আগ্রাসনের পর সেখানে সৃষ্ট গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ জন্ম নেয় আইএস। অতীতের যে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে হিংস্রতা নিয়ে তারা আবির্ভূত হয় 'ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক' নামে। ২০১১ সালে তারা রাক্কাকে রাজধানী ঘোষণা করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। গোষ্ঠীটির নতুন নামকরণ হয় ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (সিরিয়া)। এক সময় ইরাক-সিরিয়ার ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি। তাদের খেলাফতের অধীনস্ত হয় প্রায় এক কোটি মানুষ। তবে মার্কিন ও রুশ বাহিনীর বিমান হামলার পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিরোধ-যুদ্ধে পাঁচ বছর পর কথিত সেই খিলাফত সংকুচিত হয়ে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে সিরিয়ার ইউফ্রেটিস নদীর এক বাঁকে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের মার্চে তাদের কথিত খিলাফতের পুরোপুরি পতন ঘটে।

/এমপি/
সম্পর্কিত
গাজায় যুদ্ধবিরতিট্রাম্পের ‘চূড়ান্ত’ প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস, নির্মূলের অঙ্গীকার ইসরায়েলের
চীনের হাসপাতালে চালু হলো ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস ওয়ার্ড
আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করলো ইরান
সর্বশেষ খবর
তাবেলা সিজার হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেলের মালিকরাও খালাস পেলেন
তাবেলা সিজার হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেলের মালিকরাও খালাস পেলেন
অর্থবছর শেষে খাদ্য মজুত বেড়েছে
অর্থবছর শেষে খাদ্য মজুত বেড়েছে
মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলেন দুই মেয়ে
মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলেন দুই মেয়ে
‘মেগাস্টার’ বিতর্ক: আত্মপক্ষ সমর্থনে জাহিদ হাসান
‘মেগাস্টার’ বিতর্ক: আত্মপক্ষ সমর্থনে জাহিদ হাসান
সর্বাধিক পঠিত
নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
সংযুক্ত কর্মচারী প‌রিষ‌দের জরু‌রি সভানবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল