X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতে যা বললেন সু চি

বিদেশ ডেস্ক
১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৫২আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৩২

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি দাবি করেছেন, গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় রাখাইনের একটি খণ্ডিত ও বিভ্রান্তিকর চিত্র হাজির করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। সু চি’র দাবি, রাখাইনে কোনও গণহত্যা ঘটেনি, সেখানে আরসার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে সে দেশের সেনাবাহিনী।   

আদালতে যা বললেন সু চি

 

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এ মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় নিজ দেশের আইনি লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি।
বিচার প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিনে আজ (বুধবার) মিয়ানমার গাম্বিয়ার অভিযোগের জবাব দিচ্ছে। এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে সু চি বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে গাম্বিয়া রাখাইনের একটি অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর একপাক্ষিক চিত্র তুলে ধরেছে।'
রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রশ্নে দেশের অভ্যন্তরে সামরিক-বেসামরিক তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সু চি প্রশ্ন তোলেন, যে রাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে কোনও ঘটনার তদন্ত ও বিচার করে এবং সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের সাজা দেয়, তাদের গণহত্যার উদ্দেশ্য থাকতে পারে কিনা। 'কাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হচ্ছে? যদিও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তবু আমি নিশ্চিত করতে চাই যে বেসামরিক নেতাদের ওপরও যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

সু চি বলেন, রাখাইনে পরিস্থিতি জটিল। নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের ‘দুর্দশা’র কথাও আদালতে স্বীকার করেন তিনি। তবে শুনানিতে ২০১৭ সালে রক্তাক্ত সামরিক অভিযানকে বারবারই ‘অভ্যন্তরীণ সহিংসতা’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। বলেছেন, স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার জবাব দিচ্ছিলো মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

গতকাল (১০ ডিসেম্বর, বুধবার) বিচার প্রক্রিয়ার প্রথম দিনে বাদীপক্ষের অভিযোগ শোনা হয়। শুনানিতে অংশ নিয়ে গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবাকার তাম্বাদু বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার প্রশ্নে বিশ্ববিবেককে জাগ্রত করতেই তার দেশ আইসিজেতে এই অভিযোগ এনেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘সারা বিশ্ব কেন এখন নীরব দর্শক? কেন আমাদের জীবদ্দশায় আমরা এটা ঘটতে দিচ্ছি?’ তাম্বাদু বলেন, ‘সবাই মনে করে এখানে মিয়ানমারের বিচার হচ্ছে। আসলে এখানে বিচার চলছে আমাদের সামগ্রিক মানবিকতার।’

শুনানির শেষ দিনে (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় দেড়ঘণ্টা বলার সুযোগ পাবে গাম্বিয়া এবং বিরতির পর রাত সাড়ে ৯টা থেকে দেড়ঘণ্টা বলবে মিয়ানমার।

/এমএইচ/বিএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘনঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন সমাধান
ঘনঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন সমাধান
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ব্যবসায়ীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ব্যবসায়ীর
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ