যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হওয়া ১৪জনের তালিকা প্রকাশ করেছে সান বারনারডিনো কাউন্টি কর্তৃপক্ষ। বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে স্যান বারনারডিনো শহরের ইনল্যান্ড রিজিওনাল সেন্টারে এই হামলা চালানো হয়।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, নিহতদের বয়স ২৬ থেকে ৬০এর মধ্যে। তারা সবাই সান বারনারডিনোর আশপাশের বাসিন্দা। বয়স এবং আসাসস্থল-সহ নিহতদের তালিকা:
শ্যানন জনসন (৪৫)লস অ্যাঞ্জেলস
বেনেত্তা বেট বাদাল (৪৬), রিয়ালটো
অরোরা গোডয় (২৬), সান জ্যাসিনটো
আইজাক আমানিওস (৬০), ফন্টানা
ল্যারি কাফম্যান (৪২), রিয়ালটো
হ্যারি বোম্যান (৪৬), আপল্যান্ড
ভেত্তে ভেলাসকো (২৭), ফন্টানা
সিয়েরা ক্লেবর্ন (২৭), মরেনো ভ্যালি
রবার্ট অ্যাডামস (৪০), য়ুকাইপা
নিকোলাস তাহলাসিনোস (৫২), কল্টন
টিন নগুয়েন (৩১), সান্তা আনা
হুয়ান এসপিনোজা (৫০), হাইল্যান্ড
ডেমিয়ান মিয়িন্স (৫৮), রিভারসাইড
মিচেল ওয়েটজেল (৩৭), লেক অ্যারোহেড
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যবহৃত একটি সামাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। ওই হামলায় আহত হন অন্তত ২১ জন। এদিকে, এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কর্মস্থলে শত্রুতাজনিত কারণে এ হামলা চালানো হতে পারে।
এ ঘটনায় দুই হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এদের একজন পুরুষ, অন্যজন নারী। একজন ২৮ বছরের সাঈদ রিজওয়ান ফারুক এবং অন্যজন ২৭ বছরের তাশফিন মালিক। তারা দু’জনই নিজেদের গাড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। মার্কিন পুলিশ এখন এই দুইজনের গুলিবর্ষণের কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে।
দুই হামলাকারী স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের ছয় মাসের একটি শিশুও রয়েছে। পুলিশ বলছে, হামলার ধরন দেখে মনে হয় এটা পরিকল্পিত।
পুলিশ জানিয়েছে, সাঈদ রিজওয়ান ফারুক পাঁচ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি ক্ষোভের মুখে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। সূত্র: রয়টার্স
/বিএ/