সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য তেহরানে বৈঠকে মিলিত হচ্ছে তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরান। এতে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বৈঠকে অংশ নিতে মঙ্গলবার তেহরান সফরে যাচ্ছেন পুতিন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সিরিয়ার টানা ১১ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানে কথিত ‘আস্তানা শান্তি প্রক্রিয়ার’ অংশ হিসেবে কয়েক বছর ধরে আলোচনা চালাচ্ছে তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরান। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মূল পৃষ্ঠপোষক রাশিয়া ও ইরান। অন্যদিকে আসাদবিরোধী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির মতো বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। সম্প্রতি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযান শুরুর হুমকি দিয়েছেন এরদোয়ান। অন্যদিকে সিরিয়ায় তুরস্কের যেকোনও সামরিক পদক্ষেপ এই ‘অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে’ বলে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এমন পরিস্থিতিতেই তেহরানে তিন দেশের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন জানিয়েছে, ১৯ জুলাই প্রেসিডেন্টের তেহরান সফরের পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে সিরিয়া ইস্যুতে আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন পুতিন। এর আগে জুনের শেষ দিকে তাজিকিস্তান সফরে যান তিনি।
রুশ বিশ্লেষক ভ্লাদিমির সোটনিকভ বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের সময়টি কাকতালীয় নয়। রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ চালাচ্ছে, ঠিক সেভাবে সিরিয়ায় ‘বিশেষ অভিযান’ চালাতে চায় তুরস্ক।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস ইরানের তৈরি ড্রোন পেতে দেশটির শরণাপন্ন চেয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র বহনে সক্ষম এসব ড্রোন চেয়েছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, ইরান এসব ড্রোন রাশিয়াকে সরবরাহ করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওয়াশিংটনের কাছে থাকা তথ্যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে রুশ বাহিনীকে এসব ড্রোন ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেহরান।