মার্কিন প্রতিষ্ঠানে চীনা নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটন এবং তার মিত্ররা বেইজিংয়ের ‘অন্যায় অর্থনৈতিক চর্চার’ বিরুদ্ধে লড়াই করবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য বেইজিংয়ে কূটনৈতিক সফর করছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।
চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিং পৌঁছান ইয়েলেন। শুক্রবার তিনি দেখা করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর সঙ্গে।
চীনা প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে চীনের সঙ্গে সুস্থ বাণিজ্য প্রতিযোগিতা চাই। এখানে কোনও এক পক্ষ সুবিধা নেবে না। সময় গড়ানোর সঙ্গে দুই দেশই লাভবান হতে পারবে।’
জবাবে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি বলেন, ‘সহযোগিতা জোরদার করাটা চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজন। দুই দেশের সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আসে এবং ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার হতে পারে সেই চেষ্টা আমাদের করা উচিত।’
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের দ্রুত অবনতি হয়েছে। জিনজিয়াং এবং হংকং-এর মানবাধিকার, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগরের আঞ্চলিক দাবি, গ্রাফাইট, সিলিকনের মতো সম্পদের ওপর বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেন প্রশাসন এখন চীনের সঙ্গে কোনও ধরণের ঝামেলায় যেতে চাচ্ছে না। আর একারণেই তার প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বেইজিং সফর করেন। ব্লিঙ্কেনের সফরে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেনো সংঘর্ষে না পরিণত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য শির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছান।
সূত্র: বিবিসি