গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় শুক্রবার (৪ অক্টোবর) অন্তত ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হামলার জবাবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী রকেট নিক্ষেপ করলে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সতর্ক সংকেত জারি করা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা সিটির একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত সাত জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর খান ইউনিসের একটি বাড়িতে বোমা হামলায় দুই নারী ও এক শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
ঘনবসতিপূর্ণ এই অঞ্চলের একাধিক এলাকায় বিমান হামলায় বাকিরা নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় লুকিয়ে থেকে হামাস তাদের কার্যকলাপ পরিচালনা করে। আর তাদের এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে হামাস।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাফা ও গাজা সিটির এক এলাকায় একাধিক বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
এদিকে, শুক্রবারে প্রায় দুমাসে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ ইসরায়েলে সতর্ক সংকেত জারি করার কথা জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এই হামলায় প্রমাণিত হলো যে, প্রায় একবছরের সহিংসতায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পরেও সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী এখনও রকেট হামলা চালাতে সক্ষম।
ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিক্ষিপ্ত রকেটের একটি প্রতিহত করেছে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আরেকটি উন্মুক্ত স্থানে আঘাত করে বিস্ফোরিত হয়। হামলায় হতাহত বা মারাত্মক কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘৭ অক্টোবরের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও, আমাদের জনগণ এখনও হামাসের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের হুমকিতে আছে। তাই, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।’
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখনও সফল হয়নি। হামাস এমন চুক্তি চাচ্ছে যা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। অন্যদিকে পৃথিবী থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার মাধ্যমেই যুদ্ধের পরিণতি সম্ভব বলে দাবি ইসরায়েলের।